হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। —ফাইল চিত্র।
ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করল হামাস। শুক্রবার হামাসের সহ-প্রধান খলিল অল-হাইয়া জানিয়েছেন, গাজ়ায় ইজ়রায়েলি সেনার হামলায় নিহত হয়েছেন তাঁদের গোষ্ঠীর প্রধান। পাশাপাশি তিনি এ-ও জানিয়েছেন, যত দিন পর্যন্ত না গাজ়ার বিরুদ্ধে ইজ়রায়েল যুদ্ধ থামাবে, তত দিন পণবন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না!
ইসমাইল হানিয়ার পর সিনওয়ারকে তাদের প্রধান হিসাবে বেছে নিয়েছিল হামাস। সিনওয়ারের নেতৃত্বেই আক্রমণের ঝাঁজ বৃদ্ধি করছিল তারা। কিন্তু বৃহস্পতিবার ইজ়রায়েলের বিদেশমন্ত্রী বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিলেন, নিহত হয়েছেন হামাস প্রধান। এর আগে ইজ়রায়েলি সেনা বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, গাজ়ায় এক অভিযানে তিন ‘জঙ্গি’র মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে এক জন সিনওয়ার কি না, তা ইজ়রায়েলি সেনা এবং নিরাপত্তা সংস্থা যাচাই করিয়ে দেখছে। তার কিছু ক্ষণ পরেই প্রকাশ্যে আসে ইজ়রায়েলের বিদেশমন্ত্রীর বিবৃতি। সেই বিবৃতির ২৪ ঘণ্টা পর হামাস সিনওয়ারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করল।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর স্বাধীনতাপন্থী সশস্ত্র প্যালেস্টাইনি গোষ্ঠী হামাসের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাহিনী আল কাশিম ব্রিগেড রকেট হানার পাশাপাশি ইজ়রায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিতে হামলা চালিয়েছিল। হামাসের হামলায় নিহত ইজ়রায়েলির সংখ্যা ছিল প্রায় ১৪০০। তা ছাড়া প্রায় তিনশো ইজ়রায়েলি নাগরিককে পণবন্দি করে নিয়ে গিয়েছিল হামাস। তার পরেই এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
এক বছর ধরে হামাস এবং ইজ়রায়েলের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পশ্চিম এশিয়া। তার মধ্যেই সিনওয়ারের মৃত্যু নতুন করে উত্তেজনা বৃদ্ধি করল। হামাস স্পষ্ট জানাল, ইজ়রায়েল গাজ়ায় যুদ্ধ না থামালে এবং সেখান থেকে ইজ়রায়েলি সেনা তুলে নেওয়া না পর্যন্ত তারা পণবন্দিদের মুক্তি দেবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy