লাহৌরের আদালতে হাফিজ সইদ। বুধবার। পিটিআই
২৬/১১ মুম্বই হামলার পর-পরই হাফিজকে ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গির’ তকমা দেয় রাষ্ট্রপুঞ্জ। তার পরেও কেন হাফিজের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হচ্ছে না, তা নিয়ে অনেক দিন ধরেই পাকিস্তানকে চাপ দিয়ে আসছিল ভারত ও আমেরিকা। কিন্তু পাকিস্তান দীর্ঘদিন পর্যন্ত তাকে ‘জঙ্গি’ বলেই মানতে চায়নি। উল্টে তাকে ভোটে দাঁড় করানোর পাশাপাশি ধারাবাহিক ভাবে ভারত-বিরোধী প্রচারে উৎসাহ জুগিয়েছে। তবে ২০১৭ থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন করে চাপ দেওয়া শুরু করায় এবং ভারতের তরফে ধারাবাহিক হুঁশিয়ারি আসতে থাকায় ২০১৮-র ফেব্রুয়ারিতে হাফিজ ও তার সংগঠনকে সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দেয় পাকিস্তান। কয়েক মাস নামমাত্র গৃহবন্দি রাখার পরে গত বছর জুলাইয়ে গ্রেফতার করা হয় হাফিজকে। সেই থেকে সে লাহৌরের কোট লাখপত জেলে আটক। সূত্রের খবর, আগামী দিনেও সেখানেই রাখা হবে তাকে।
বিরুদ্ধে সাক্ষী ছিলেন অন্তত ২০ জন। লস্কর প্রধান অবশ্য আগাগোড়া নিজের ধর্মীয় সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়াকে ঢাল করে বলে গিয়েছে, সে নির্দোষ। কোনও সশস্ত্র সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার কথাও অস্বীকার করেছে সে। অথচ শুধু পাকিস্তানেই সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার ২৩টি মামলা রয়েছে হাফিজের বিরুদ্ধে। পুলিশের দাবি, আল-আনফাল, দাওয়াত উল ইরশাদ এবং মুয়াজ বিন জবল নামের বেশ কয়েকটি ট্রাস্টে দীর্ঘদিন ধরেই বিপুল সম্পত্তি জমাচ্ছিল হাফিজ ও তার সহযোগীরা। প্রয়োজনে সেটাই কাজে লাগানো হত ঘরে-বাইরে জঙ্গি হামলায়। প্রমাণ হাতে থাকায় হাফিজকে জেলে পাঠানোটা সময়ের অপেক্ষা ছিল বলে মত অনেকের। নাকি, সবটাই এফটিএফএ-খাঁড়া এড়াতে— প্রশ্ন থাকছেই।
হাফিজ মহম্মদ সইদ
• লস্কর-ই-তইবা এবং জামাত উদ দাওয়ার প্রতিষ্ঠাতা
• ২৬/১১ মুম্বই হানার মস্তিষ্ক
• রাষ্ট্রপুঞ্জের জঙ্গি তালিকায়
• ১ কোটি ডলার মাথার দাম রেখেছে আমেরিকা
এ বার
• পাক সন্ত্রাস-দমন আদালতে সাড়ে ৫ বছরের কারাদণ্ড
• সন্ত্রাসে আর্থিক মদতের অভিযোগে গ্রেফতার গত জুলাইয়ে
• ডিসেম্বরে ৬টি মামলা দায়ের। তার মধ্যে দু’টিতে একসঙ্গে এই সাজা
• ভারতের অভিযোগ, এফএটিএফের কালো তালিকা এড়াতে লোক-দেখানো পদক্ষেপ পাকিস্তানের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy