পাঁচ দিন ধরে জ্বলছে গ্রিসের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ ইভিয়া। অ্যাথেন্স থেকে মাত্র ১৮৫ কিলোমিটার দূরে। রবিবার। ছবি: রয়টার্স
দাবানল থামছে না গ্রিসে। প্রায় দিন পনেরো ধরে জ্বলছে গ্রিসের বিস্তীর্ণ এলাকা। গত কয়েক দশকের মধ্যে যা ভয়ঙ্করতম বলে মনে করছেন সেখানের বাসিন্দারা। প্রায় এক কোটি সাত লক্ষ মানুষের এই দেশে পরিস্থিতি সামাল দিতে এই মুহূর্তে প্রায় হাজার দেড়েক ‘অগ্নিযোদ্ধারা’ লড়াই করছেন। ফ্রান্স, স্পেন, রাশিয়া, ব্রিটেন-সহ ১০টি দেশ ইতিমধ্যে সাহায্য পাঠিয়েছে। বিদেশ থেকে এসেছে দক্ষ বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, হেলিকপ্টার, আগুন নেভানোর জন্য বিশেষ বিমান ও যন্ত্রপাতি। আরও অন্তত আটটি দেশ সাহায্যের বার্তা দিয়েছে।
পাঁচ দিন ধরে অনবরত জ্বলছে গ্রিসের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ ইভিয়া। প্রশাসনের নজর আপাতত এখানেই। অ্যাথেন্সের উত্তরে আরও একটি বড় আগুন চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রশাসনের। পুড়ে ছাই বহু বাড়ি, জনপদ। গৃহহীনদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে আনা হচ্ছে। এরই মধ্যে ইচ্ছাকৃত ভাবে আগুন লাগানোর জন্য শনিবার অ্যাথেন্স থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুধুমাত্র শনিবার রাত থেকে রবিবার পর্যন্ত ইভিয়া দ্বীপে জলপথে ৮৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
উত্তর ইভিয়ায় চারটি গ্রাম খালি করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। শনিবারই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
গ্রিসের সঙ্গে দাবানলে পুড়ছে তুরস্কও। তবে শনিবার থেকে সেখানে জমিয়ে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় একটু স্বস্তি মিলেছে। বৃষ্টির কারণে দক্ষিণ-পশ্চিম তুরস্কে বেশ কয়েকটি জায়গায় আগুন আয়ত্তে এসেছে। বৃষ্টির অপেক্ষায় রয়েছে গ্রিসও।
বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে বিশ্ব জুড়ে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে। এই মুহূর্তে ইউরোপের পাশাপাশি দাবানলে পুড়ছে উত্তর সাইবেরিয়ার একাংশ। প্রায় দেড় কোটি একর জমি পুড়ে গিয়েছে সেখানে। জ্বলছে অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকার ক্যালিফর্নিয়া, আফ্রিকার মধ্যভাগও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy