জন্মদিনে গুগলের বিশেষ ডুডল।
সব কৌতূহল মেটাতে পারে। সব কিছু খুঁজে দিতে পারে। সবার প্রিয় সেই গুগল আজ তেইশে পা দিল।
প্রতি বছর জন্মদিন উপলক্ষে গুগল একটি বিশেষ ডুডল তৈরি করে। এবারও সেটা করেছে। আর তাতেও বিশ্বজুড়ে চলা অতিমারীর ছায়া। একা একাই যেন জন্মদিন পালন করছে গুগল। জন্মদিনের টুপি পরে ইংরেজি বর্ণ ‘জি’ ল্যাপটপে ভিডিও কলে ব্যস্ত। পাশেই উপহার আর এক টুকরো কেক রয়েছে। ল্যাপটপ থেকে বের হওয়া পপ আপে দেখা যাচ্ছে ‘Google’-এর বাকি বর্ণগুলিও জন্মদিনের আনন্দ করছে। অতিমারীর সময়ে গুগলও যেন ভার্চুয়াল জন্মদিন পালন করল।
গুগলের জন্ম ১৯৯৬ সালে। ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিন সংস্থাটি শুরু করেছিলেন। যদিও শুরুতে তাঁরা সংস্থার নাম রেখেছিলেন ‘BackRub’। তখন অবশ্য সার্চ ইঞ্জিন নয়, নিজেদের ব্যবহারের জন্য ওয়েব পেজ বানিয়েছিলেন দুই বন্ধু। ১৯৯৭ সালে ল্যারি পেজ ও সের্গেই নতুন সংস্থা শুরুর উদ্যেগ নেন। তখন এর নাম পরিবরর্তন করে নতুন নাম রাখা হয় ‘Google’। এই নামটি এসেছে ‘googol’ শব্দটি থেকে।
আরও পড়ুন: শিশুকে বাঁচাতে বাইক থেকে ঝাঁপ, দেখুন মৃত্যুর ঝুঁকি উপেক্ষা করা যুবকের সাহস
এর পিছনে একটা গল্পও আছে। ‘googol’ একটি গাণিতিক শব্দ। এর অর্থ, ১-এর পিছনে ১০০টি শুন্য। কিন্তু বানান ভুল করায় সেটাই হয়ে যায় ‘google’। গুগলের ব্লগ থেকেই জানা যায় সেই গল্প। ১৯২০ সালে আমেরিকার গণিতজ্ঞ এডওয়ার্ড ক্যাসনার তাঁর ভাইপো মিল্টন সিরোটার কাছে জানতে চান ১ এর পিছনে ১০০ শুন্য বসালে তাকে কী বলা হবে? উত্তরে সিরোটা বলেন, ‘google’। ১৯৪০ সালে একটি বইতে এ কথা লেখেন ক্যাসনার। সেই শব্দটিকেই পরে সার্চ ইঞ্জিনের নাম হিসেবে পছন্দ করেন ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিন। সম্ভবত, সার্চ ইঞ্জিনের বিশাল পরিমাণ তথ্য দেওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতেই এমন নামা বাছা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: জিভে জল আনা মাস্ক, চশমা ঝাপসা হওয়ার সমস্যায় শৈল্পিক ছোঁয়া
এখন অবশ্য এই নামটা সবার জানা। অক্সফোর্ড ইংরেজি অভিধানেও ২০০৬ সালে একটি ক্রিয়াপদ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ‘google’ শব্দটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy