জার্মানির অর্থমন্ত্রী পিটার অল্টমেয়ার। -ফাইল ছবি।
সংক্রমণে রাশ টানতে জার্মানিতে আগামী বসন্ত পর্যন্ত আংশিক লকডাউন চালিয়ে যেতে হতে পারে, জানালেন সে দেশের অর্থমন্ত্রী পিটার অল্টমেয়ার। জার্মানির একটি সংবাদপত্রে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শনিবার এ কথা বলেছেন তিনি।
কেন এত দিন পর্যন্ত দেশে আংশিক লকডাউন চালিয়ে যাওয়ার ভাবনাচিন্তা হচ্ছে জার্মানিতে, তার কারণও জানিয়েছেন অল্টমেয়ার। বলেছেন, ‘‘পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাওয়ার কথা এখনই ভাবা সম্ভব হচ্ছে না। জার্মানির বড় বড় এলাকাগুলিতে এখনও প্রতি ১ লক্ষ মানুষের মধ্যে কোভিডে সংক্রমিত হচ্ছেন ৫০ জনেরও বেশি।’’
রবার্ট কখ ইনস্টিটিউটের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অতিমারি শুরুর সময় থেকে এখনও পর্যন্ত জার্মানিতে সংক্রমিত হয়েছেন ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৮৯ জন। শনিবারই খবর মিলেছে নতুন সংক্রমণের। সেই সংখ্যাটা খুব কম নয়। ২১ হাজার ৬৯৫ জন।
শীতে সংক্রমণ বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা বহু দিন ধরেই প্রকাশ করে চলেছেন বিশেষজ্ঞরা। গত ডিসেম্বরেই চিনের উহান প্রদেশে প্রথম সংক্রমিত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে।
আরও পড়ুন: যাত্রিবাহী সব বাণিজ্যিক আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত
আরও পড়ুন: সপ্তম পর্বের আনলকে নয়া করোনা নির্দেশিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের
জার্মানি কার্যত শীতের দেশ। তাই এখনই আংশিক লকডাউন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত যে সঠিক হতে পারে না, সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন জার্মানির অর্থমন্ত্রী।
অল্টমেয়ার বলেছেন, ‘‘আমাদের সামনে এখন ৩/৪ মাসের টানা শীতকাল। তাই আগামী বছরের প্রথম ক’টা মাসে দেশে করোনাবিধির কড়াকড়ি থাকবে বলেই মনে হচ্ছে। কারণ, আংশিক লকডাউনের নিয়মকানুন শিথিল হলেই বিপদ বাড়বে।’’
জার্মানির সংবাদমাধ্যমের খবর, এই কড়াকড়ি অন্তত আগামী ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকুক, চাইছেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলও। দেশের ১৬টি প্রদেশের প্রধানদের সঙ্গে বুধবার একটি জরুরি বৈঠক করেছেন তিনি। সেই বৈঠকে প্রায় সব প্রদেশের প্রধানরাই কড়াকড়ির মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে রায় দিয়েছেন।
এই নভেম্বরেই লকডাউন কিছুটা শিথিল করা হয়েছিল জার্মানিতে। তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘লকডাউন লাইট’। যাতে রেস্তরাঁ ও বার বন্ধ রাখতে বলা হলেও স্কুল, কলেজ ও দোকানগুলি খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy