জর্জ ফ্লয়েড। এ বার আক্রান্ত তাঁর নাতনি। ফাইল চিত্র
বড়িতে ঘুমোচ্ছিল চার বছরের ছোট্ট মেয়ে আরিয়ানা ডেলান। তখনই তার উপর গুলি চালানো হয়। জর্জ ফ্লয়েডের নাতনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছে ছোট্ট মেয়েটি। ফুসফুস এবং যকৃৎ ফুঁড়ে গুলি বেরিয়ে যায়। পাঁজরের হাড়ও ভেঙে গিয়েছে। অস্ত্রোপচারের পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে আরিয়ানা। তার বাবা ডেরেকের অভিযোগ, ইচ্ছাকৃত ভাবে এই হামলা।
১ জানুয়ারি রাত তখন তিনটে। টেক্সাসের হিউস্টনে নিজেদের ফ্ল্যাটে ঘুমোচ্ছিল আরিয়ানা। সে সময়ই হঠাৎ হামলা চালায় এক বন্দুকবাজ। ডেরেকের কথায়, ‘‘আরিয়ানা আর্তনাদ করে বলে ওঠে, ‘বাবা, আমার গুলি লেগেছে।’ সঙ্গে সঙ্গে দেখি চার দিক রক্তে ভেসে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে ইচ্ছাকৃতভাবেই আমাদের উপর এই আক্রমণ।’’
হিউস্টন পুলিশ বলেছে, তারা গুলি চালানোর সম্ভাব্য কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। সেই সঙ্গে দেখছে, বিশেষ কোনও কারণে ওই পরিবারটিকে আক্রমণ করা হয়েছে কি না।
আরিয়ানার ঠাকুরমা ফ্লয়েডের নিজের বোন। ২০১৯-এর ২৫ মে মিনিয়াপোলিসের রাস্তায় ৪৬ বছর বয়সি কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের গলা হাঁটু দিয়ে চেপে ধরেছিল পুলিশ অফিসার ডেরেক শভিন। ৯ মিনিট ২৯ সেকেন্ড সে ভাবে থাকার ফলে শ্বাসরোধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান ফ্লয়েড। তার পর থেকে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে আমেরিকা। দ্রুত পদক্ষেপ করতে হয় প্রশাসনকে। সেই মামলায় এ বছর এপ্রিলে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে শভিন। জুলাইয়ে তার সাড়ে ২২ বছর কারাদণ্ড ঘোষণা করে মিনিয়াপোলিসের আদালত। তখন থেকেই ৪৫ বছর বয়সি শভিন স্টিলওয়াটার সংশোধনাগারে বন্দি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy