কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনের চূড়ান্ত অভিঘাতে গত ৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এ বার সে দেশের আর এক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়াও দেশ ছাড়তে চলেছেন।
তবে হাসিনার মতো জনবিক্ষোভের জেরে নয়। খালেদা বিদেশ যাচ্ছেন চিকিৎসার জন্য। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকার নয়াপল্টনে, দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের নেত্রী যাতে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে দেশবাসীর কাছে ফিরে আসতে পারেন, সে জন্যই আমরা তাঁকে বিদেশে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, হাসিনা সরকারের আমলে খালেদা দুর্নীতির দু’টি মামলায় সাজা পেয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হয়েছিলেন। তাঁর মোট ১৭ বছরের জেলের সাজা হয়। দু’বছরের বেশি সময় তিনি জেলে ছিলেন। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাসিনার সরকার এক অন্তর্বর্তী আদেশে খালেদার সাজা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ স্থগিত করে তাঁকে শর্তসাপেক্ষে গৃহবন্দি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু হাসিনা সরকারের পতনের পরে ৫ অগস্ট রাতে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে বৈঠকের পরে সে দেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিন ঘোষণা করেছিলেন, খালেদার সাজা মকুব করে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হবে। পরের দিনই সরকারি নির্দেশিকা জারি করে তা কার্যকর করা হয়। সে দিনই তাঁর পাসপোর্ট পুনর্নবীকরণ করা হয়।