—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কূটনৈতিক কৌশলে ফের বাজিমাত ভারতের। আটক জাহাজে বন্দি ভারতীয়দের মধ্যে পাঁচ জন নাবিককে বৃহস্পতিবার মুক্তি দিল ইরান। ইরানের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানা গিয়েছে, মুক্তি পাওয়া ওই পাঁচ জন বৃহস্পতিবারই ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল ওই পাঁচ জনের মুক্তি পাওয়ার কথা জানান। পাঁচ জনকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ভারতীয় দূতাবাসের তরফে ইরানের প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানানো হয়। বলা হয়, সে দেশের প্রশাসন সর্বদা তেহরানের ভারতীয় দূতাবাস এবং বন্দর আব্বাস শহরের উপদূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে গিয়েছিল।
গত ১৩ এপ্রিল হরমুজ প্রণালীতে ইরানের বিশেষ বাহিনী ‘রেভোলিউশনারি গার্ডস অ্যারোস্পেস ফোর্স’-এর হাতে আটক হয় একটি জাহাজ। সেই জাহাজে ছিলেন ১৭ জন ভারতীয় নাবিক। তাঁদের মধ্যে এক জন মহিলা নাবিক দেশে ফিরলেও বাকিরা এত দিন আটক ছিলেন। তবে ইরানের তরফে আগেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল যে, কেবল ভারতীয়েরা নন, আটক হওয়া অন্য নাবিকেরা মুক্তি পাবেন শীঘ্রই।
ইরানের অর্থমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ানের জানিয়েছিলেন, ‘মানবিক দিক’ থেকে বিচার করেই ওই জাহাজের সঙ্গে আটক করা নাবিকদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, মোট ২৫ জন নাবিককে আটক করা হয়েছিল। তার মধ্যে এক জন ভারতীয় মহিলা নাবিককেই দেশে পাঠানো হয়। বাকিদের মুক্তি নিয়ে টানা কূটনৈতিক আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনার পরেই আশার আলো মিলল। সূত্রের খবর, কিছু নথি সংক্রান্ত কাজকর্ম বাকি ছিল। সেগুলি অনেকাংশেই মিটে গিয়েছে। বাকি নাবিকেরাও খুব শীঘ্রই মুক্তি পাবেন বলে ওই সূত্রের খবর।
ইরানের হাতে আটক জাহাজে ছিলেন ২৫ জন কর্মী। তাঁদের মধ্যে ১৭ জন ভারতীয়। জাহাজটির পরিচালনা দায়িত্বে ছিল ইটালীয়-সুইস সংস্থা এমএসসি। সংস্থাটি জানায়, হেলিকপ্টারে চেপে ওই জাহাজে ওঠেন ইরানের প্রশাসনের আধিকারিকেরা। সংবাদ সংস্থা এপি সূত্রে জানা যায়, জাহাজটি আদতে লন্ডনের জোডিয়াক গোষ্ঠীর। জোডিয়াক গোষ্ঠী হল ইজ়রায়েলি ধনকুবের ইয়াল অফারের। গত ১২ এপ্রিল দুবাই থেকে জাহাজটি মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। পরের দিনই হরমুজ় প্রণালীতে সেই জাহাজটি বাজেয়াপ্ত করে ইরানের বিশেষ বাহিনী। ১৭ জন ভারতীয়ের মধ্যে ত্রিশূরের অ্যান টেসা জোসেফকে আগেই ছেড়ে দিয়েছিল তেহরান। গত ১৮ এপ্রিল কোচিন বিমানবন্দরে পা রাখেন তিনি।
পশ্চিম এশিয়ায় রাজনৈতিক এবং সামরিক চাপানউতরের মধ্যেই প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের পাশে দাঁড়িয়ে ইজ়রায়েলের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে ইরান। সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে ইরানি দূতাবাসে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল ইজ়রায়েলের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে। ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মৃত্যু হয় সাত জনের, যাঁদের মধ্যে ছিলেন ইরানের সামরিক বাহিনীর দুই জেনারেল। তার পরেই ইজ়রায়েলে পাল্টা হামলা চালায় ইরান। অন্তত ৩০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। দুই দেশের মধ্যে সেই উত্তেজনা এখনও বহাল রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy