ছন্দে: মঙ্গলবার থেকে খুলছে ইটালির বিভিন্ন পর্যটনস্থল। প্রথম দিনেই কয়েক জন হাজির পম্পেইয়ে। এপি
বিশ্ব জুড়ে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ৫৫ লক্ষের গণ্ডি ছাড়িয়েছিল গত কালই। আজ, ৫৬ লক্ষ ১৭ হাজার! মৃত সাড়ে তিন লক্ষের কাছাকাছি। এ দিকে অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে বহু দেশই লকডাউন শিথিল করে, আংশিক উড়ান পরিষেবাও চালু করে দিয়েছে। তা-হলে কি এ বার বিদায়ের পথে কোভিড-১৯? সেই জল্পনায় জল ঢেলেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর মাইক রায়ান জানালেন, ‘‘আমরা এখন সবে সংক্রমণের প্রথম ধাপের মাঝামাঝি পর্যায়ে। দ্বিতীয় ঝড়ের ঢের বাকি। এখন প্রথম ঝড়ের দাপট সামলানোটাই চ্যালেঞ্জের।’’
বিশ্বে মোট করোনা-আক্রান্তের দুই-তৃতীয়াংশই ইউরোপের। আবার তালিকার শীর্ষে থাকা আমেরিকায় সংক্রমিতের সংখ্যা ১৭ লক্ষ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়িয়েছে। অন্য দিকে, ক্রমশ চিন্তা বাড়ছে দক্ষিণ আমেরিকা এবং দক্ষিণ এশিয়ার। বিশেষত, ব্রাজিল ও ভারতের।
এরই মধ্যে আবার ভাইরাস-ঘটিত মহামারি নিয়ে গোটা বিশ্বকে সতর্ক করতে গিয়ে চিনের ‘ব্যাট উম্যান’ তথা উহানের বিতর্কিত ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির ডেপুটি-ডিরেক্টর শি জ়েংলি বললেন, ‘‘হালে যে নোভেল করোনাভাইরাসকে শনাক্ত করা গিয়েছে, তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। আগামী দিনে আরও অনেক তেজি ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে হতে পারে আমাদের। আর যুদ্ধ জিততে হলে সব দেশকেই একজোট হয়ে লড়তে হবে। যে যা-ই গবেষণা করুক, তাতে স্বচ্ছতা থাকতে হবে।’’
আরও পড়ুন: ভারতীয় বংশোদ্ভুত মার্কিন দম্পতির হাত ধরে ‘জলের দরে’ ভেন্টিলেটর পেতে পারে ভারত
করোনার উৎপত্তি চিনের ওই ল্যাব থেকেই কি না, সেই সন্দেহের এখনও মীমাংসা হয়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও দাবি করে চলেছেন যে, চিন চাইলে গোড়াতেই করোনাকে কাবু করতে পারত। তা না-করে বরং প্রকৃত তথ্য গোপন করে বিপদে ফেলেছে গোটা দুনিয়াকে। চিনের ‘ব্যাট উম্যান’ তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সেই অভিযোগ ফের অস্বীকার করে জানালেন, তিনি এত দিন বাদুড়-সহ নানা প্রাণীর শরীরে থাকা যে সব ভাইরাস নিয়ে কাজ করে এসেছেন, তার সঙ্গে নোভেল করোনাভাইরাসের জিনগত কোনও মিলই নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর একটি পোস্ট বলছে— ‘‘জীবনের নামে শপথ নিয়ে বলছি, আমাদের ল্যাব থেকে কোনও ভাবেই এই সংক্রমণ ছড়ায়নি।’’
আরও পড়ুন: করোনা-রোগীদের উপর হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন প্রয়োগ বন্ধ করল হু
তবে আগামীর আশঙ্কা নয়, বর্তমানের সঙ্কটেই নাজেহাল বিশ্ব। বিশেষত যখন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো কিংবা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো অনেকেই নিজের-নিজের দেশে সর্বত্র লকডাউন তুলে দিতে চাইছেন। হু-কর্তা রায়ান তাই ব্রাজিলকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার মতো করেই বললেন, ‘‘সংক্রমণ যখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তখন অর্থনীতির উপর যা-ই প্রভাব পড়ুক না কেন, এলাকা বুঝে লকডাউন না-তোলাই মঙ্গলের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy