ডাকবিভাগে ধর্মঘট নিয়ে মতপার্থক্যের জেরে জোটসঙ্গী সেন্টার পার্টি সমর্থন তুলে নেওয়ায় সম্প্রতি সরকার ভাঙে ফিনল্যান্ডে। আস্থা ভোটে হেরে গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন অ্যান্টি রিনে। সেই শূন্য আসনেই ম্যারিনকে নির্বাচিত করেছেন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটরা। খুবই অল্প ভোটে জিতে তিনি মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিচ্ছেন।
রাজনীতি-বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ম্যারিনের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। ডাকবিভাগের ৭০০ কর্মীর বেতন ছাঁটাই নিয়ে এখনও অচলাবস্থা রয়েছে এই স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশটির একাংশে। চাপের মুখে পদত্যাগ করেছেন দলীয় নেত্রী। পিছু হটেছেন ডাক বিভাগের সংস্কার সিদ্ধান্তেও। এখন রিনের উত্তরসূরি হিসেবে যাবতীয় পরিস্থিতি সামলাতে হবে কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রীকে।
তবে এই নর্ডিক দেশের বড় অংশ এই নির্বাচন ঘিরে বেশ উৎসাহী। কারণ, ফিনল্যান্ডে যে পাঁচ দলের জোট সরকার, তার প্রত্যেকটির নেতৃত্বে রয়েছেন মেয়েরা। সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টিতে ম্যারিন, বামপন্থী জোটের নেতৃত্বে বছর বত্রিশের লি অ্যান্ডারসন, মধ্যপন্থী জোটে ৩২ বছর বয়সি ক্যাট্রি কালমানি, গ্রিন লিগে ৩৪ বছরের মারিয়া ওহিসালো এবং সুইডিশ পিপলস পার্টি অব ফিনল্যান্ডের নেতৃত্বে আছেন ৫৫ বছর বয়সি অ্যানা-মাজা হেনরিকসন।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, ম্যারিনের শৈশব কেটেছে ভাড়াবাড়িতে। তাঁকে বড় করে তোলেন মা এবং মায়ের সঙ্গিনী। পারিবারিক পরিচয় দিতে শৈশবে বারবার হোঁচট খেয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন ম্যারিন নিজেই। গুটিয়ে রাখতেন নিজেকে। কিন্তু তাঁকে বরাবর আত্মবিশ্বাস আর সাহস জুগিয়েছেন তাঁর জন্মদাত্রী। এখন দেশবাসীর ভরসাকে অটুট রাখার দায়িত্ব চৌত্রিশটি বসন্ত পেরোনো সানা ম্যারিনের কাঁধে। (ছবি: ফেসবুক)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy