উত্তেজনার আবহে তাইওয়ানের জল এবং আকাশসীমার কাছে নতুন করে যুদ্ধ মহড়া শুরু করল চিনের পিপল্স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। চিনা ফৌজের ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের তত্ত্বাবধানে বুধবার থেকে তাইওয়ান প্রণালীতে শুরু হয়েছে নৌ ও বিমানবাহিনীর ওই মহড়া।
সম্ভাব্য চিনা হানাদারি ঠেকাতে ওই এলাকায় সেনা মোতায়েন শুরু করেছে তাইওয়ানও। ফলে প্রণালীতে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। তাইওয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ উপকূলের কাওশিউং ও পিংতুং থেকে ৪০ নটিক্যাল মাইল দূরে বিমানবাহী রণতরী, ডেস্ট্রয়ার-সহ এক ডজন যুদ্ধজাহাজ এবং অন্তত ৪৫টি যুদ্ধবিমান নিয়ে যুদ্ধের মহড়া শুরু করেছে চিন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘বেজিংয়ের এই একতরফা পদক্ষেপে বাণিজ্যিক উড়ান ও জাহাজ চলাচলে সমস্যা দেখা দিয়েছে।’’
প্রসঙ্গত, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে ফেব্রুয়ারির গোড়ায় আমেরিকার সপ্তম নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত দু’টি যুদ্ধজাহাজ তাইওয়ান প্রণালীতে ঢুকেছিল। তার পর থেকেই নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে ওই এলাকায়। বস্তুত, গত বছর তাইওয়ানের সাধারণ নির্বাচনে কট্টর বেজিং-বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি)-র জয়ের পর নতুন করে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন:
চিনের দাবি, তাইওয়ান তাদেরই দেশের ‘বিদ্রোহী ভূখণ্ড’। প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করেও তারা তাইওয়ানকে চিনের মূল ভূখণ্ডে যোগ করতে বদ্ধপরিকর। ২০২২ সালের অগস্টে চিনের আপত্তি খারিজ করে আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরেই নতুন করে উত্তেজনার আবহ তৈরি হয়। সে সময় ধারাবাহিক ভাবে তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে শুরু করে চিনা যুদ্ধবিমান। পরবর্তী সময় উত্তেজনা স্তিমিত হলেও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সম্প্রতি প্রকাশ্যে তাইওয়ানকে ‘চিনের অন্তর্ভুক্ত’ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।