Advertisement
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Israel-Hamas Conflict

খুন হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে নিতিন গডকড়ীর সঙ্গে এক মঞ্চে ছিলেন হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া!

ইজ়রায়েলকে নিশানা করে ইরানের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র বুধবার বলেন, ‘‘প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়ার রক্ত কখনওই বৃথা যাবে না।’’

তেহরানের অনুষ্ঠানে (বাঁ দিকে) নিতিন গডকড়ী এবং ইসমাইল হানিয়া (ডান দিকে)।

তেহরানের অনুষ্ঠানে (বাঁ দিকে) নিতিন গডকড়ী এবং ইসমাইল হানিয়া (ডান দিকে)। ছবি: এক্স হ্য়ান্ডল থেকে নেওয়া।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৪ ১৭:১৫
Share: Save:

ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজ়েশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মঙ্গলবার সে দেশের রাজধানী তেহরানে হাজির ছিলেন তাঁরা দু’জনেই। অন্যান্য আমন্ত্রিত বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে একই মঞ্চেও দেখা গিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী এবং স্বাধীনতাপন্থী সশস্ত্র প্যালেস্টাইনি সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে।

ঘটনাচক্রে, ওই অনুষ্ঠানের কয়েক ঘণ্টা পরেই তেহরানের এক হোটেলে খুন হন হামাস প্রধান হানিয়া। ইজ়রায়েলের গুপ্তচর সংস্থা ‘মোসাদ’-এর বিরুদ্ধে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। ইজ়রায়েলকে নিশানা করে ইরানের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র নাসের খানানি বুধবার বলেন, ‘‘প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়ার রক্ত কখনওই বৃথা যাবে না। প্রতিরোধের লড়াইয়ে ইরান-প্যালেস্টাইন বন্ধন এর ফলে আরও দৃঢ় হবে।’’

হামাস প্রধান হানিয়া ছাড়াও তেহরানের ওই অনুষ্ঠানে ‘আমন্ত্রিত’ হিসাবে হাজির ছিলেন, প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের প্রধান জিয়াদ আল-নখালাহ। লেবাননের শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজ়বুল্লার ‘ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল’ নইম কাশেম এবং ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মুখপাত্র মহাম্দ আবদুলসালাম! ঘটনাচক্রে, কাতারের মধ্যস্থতায় গাজ়ায় যুদ্ধবিরতির জন্য ইজ়রায়েলের সঙ্গে বৈঠকে হামাসের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন হানিয়া। কাতারের রাজধানী দোহা থেকেই পেজ়েশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি তেহরানে গিয়েছিলেন বলে খবর।

ওই অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিনিধি হিসাবে হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভার প্রবীণ সদস্য গডকড়ী। ছিলেন, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতা এবং সরকারি প্রতিনিধিরাও। অতীতে হানিয়ার পরিবারের একাধিক সদস্যকে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল ইজ়রায়েল সেনার বিরুদ্ধে। চলতি বছরের জুন মাসেই উত্তর গাজার আল-শাতি শরণার্থী শিবিরের পাশে হানিয়ার পরিবারের বাড়িতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল তারা। সেই হামলায় হানিয়ার পরিবারের ১০ সদস্যের মৃত্যু হয়েছিল। চলতি বছরের এপ্রিলে ইজ়রায়েলি সেনার হামলায় তাঁর তিন পুত্রের মৃত্যু হয়েছিল। তার আগে হানিয়ার ভাই এবং ভাইপোও গাজ়ায় ইজ়রায়েলি হামলার বলি হয়েছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE