—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ভোটের ঢাকে কাঠি পড়েছে বাংলাদেশে। তারই মধ্যে দুর্গাপুজো ঘিরে সংশয় কাজ করছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের একাংশের মধ্যে। বাংলাদেশ সরকার এ বার দেশের প্রতিটি পুজোমণ্ডপে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। তার পরেও সংখ্যালঘুদের সংশয়ের প্রধান কারণ, ২ বছর আগে একাধিক পুজোমণ্ডপে ভাঙচুরের ঘটনার একটিতেও দুষ্কৃতীদের শাস্তি না হওয়া। তবে বাংলাদেশে সর্বজনীন পুজোর সংখ্যা গত বছরের থেকে বেড়েছে, যাকে সরকারের প্রতি সংখ্যালঘুদের ভরসার প্রমাণ বলে দেখাতে চাইছে শাসক দল আওয়ামী লীগ।
ঢাকার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের সাংবাদিক বৈঠকে সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রনাথ পোদ্দার লিখিত বিবৃতিতে জানান, এ বছর সারা দেশে ৩২ হাজার ৪০৮টি মণ্ডপে দুর্গাপুজো হবে। গত বছরে এই সংখ্যাটি ছিল ৩২ হাজার ১৬৮টি। ঢাকায় পুজোমণ্ডপ ৩টি বেড়ে হয়েছে ২৪৫টি।
কিন্তু একই সঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রাক্কালে আওয়ামী লীগের গত বারের ইস্তাহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি— জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন ও সংখ্যালঘু আইন প্রণয়ন-সহ ১০ দফা দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। এর মধ্যে রয়েছে, দুর্গাপুজোয় ৩ দিনের সরকারি ছুটির দাবি। বস্তুত এই দাবিগুলি নিয়ে ভোটের আগে সরব হয়েছে সংখ্যালঘু অধিকার রক্ষা সংগঠনগুলিও। এ দিকে, সংখ্যালঘুদের বিক্ষোভ মিছিলের উপরে তিন দিন আগে হামলা চালিয়েছে শাসক দলের যুব ও ছাত্র শাখার কর্মীরা, যা নিয়ে যথেষ্ট ক্ষোভ জমা হয়েছে সংখ্যালঘুদের মধ্যে।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের দাবি, পুজোমণ্ডপের সংখ্যা বৃদ্ধি প্রমাণ— সংখ্যালঘুরা এই আমলে নিরাপদে ধর্মাচরণ করতে পারছেন এবং সরকারের প্রতি তাঁদের ভরসা অটুট। কিন্তু পুজো উদযাপন পরিষদের এক কর্তার অভিযোগ— সমাজে সাম্প্রদায়িকতা যে ভাবে বেড়েছে, তা আগে কখনও বাংলাদেশে
দেখা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy