প্রয়াত পরমাণু বিজ্ঞানী আব্দুল কাদির খান। ফাইল ছবি।
‘পাকিস্তানের পরমাণু বোমার জনক’ বিজ্ঞানী আব্দুল কাদির খান প্রয়াত হলেন। বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তিনিই বিশ্বের মুসলিম রাষ্ট্রগুলির মধ্যে পাকিস্তানকে প্রথম পরমাণু অস্ত্রে শক্তিশালী করে তুলেছিলেন। যার জন্য পাকিস্তানে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি পেয়ে এসেছেন জাতীয় বীরের মর্যাদা।
অগস্টে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর কিছু দিন আগে ফের কোভিডে আক্রান্ত হন পরমাণু বিজ্ঞানী আব্দুল কাদির খান। তাঁকে ভর্তি করানো হয় ইসলামাবাদের একটি হাসপাতালে। রবিবার সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। আব্দুল কাদির খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
আব্দুল কাদির খানকে পাকিস্তানে জাতীয় বীর হিসেবে দেখা হয়। কারণ, বিশ্বের প্রথম মুসলিম রাষ্ট্র হিসাবে পাকিস্তানকে পরমাণু শক্তিধর করে তোলার নেপথ্যে আব্দুল কাদির খানের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। শোক বার্তায় সে কথা জানিয়েছেনও পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
Deeply saddened by the passing of Dr A Q Khan. He was loved by our nation bec of his critical contribution in making us a nuclear weapon state. This has provided us security against an aggressive much larger nuclear neighbour. For the people of Pakistan he was a national icon.
— Imran Khan (@ImranKhanPTI) October 10, 2021
আব্দুল কাদির খানের বর্ণময় জীবনে বিতর্কও ছিল প্রচুর। ইরান, লিবিয়া ও উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু প্রযুক্তি হস্তান্তর করার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে ২০০৪ সালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সে জন্য তিনি পরে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। তারই প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের তৎকালীন শাসক পারভেজ মুশারফ নির্দেশ দিয়েছিলেন, আব্দুল কাদির খানকে আর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে না। তবে ২০০৯ সাল পর্যন্ত আব্দুল কাদির খান পাকিস্তানে ছিলেন গৃহবন্দি হয়েই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy