কেলা ম্যুলার।—ছবি সংগৃহীত।
জঙ্গিদের ভিডিয়ো-বার্তা থেকে মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়েছিলেন চার বছর আগে। কিন্তু জানতে পারেননি, জঙ্গিদের সেই দাবি ঠিক কি না। আইএস প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদির মৃত্যুর পরে মার্শা ও কার্ল ম্যুলারের আশা, মেয়ে কেলা-র মৃত্যুকে ঘিরে অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর এ বার মিলবে।
২০১৩-র ৪ অগস্ট উত্তর সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে আইএস জঙ্গিরা অপহরণ করেছিল ২৫ বছর বয়সি মার্কিন মানবাধিকার কর্মী কেলা-কে। অপহরণের কিছু দিনের মধ্যেই এক ভিডিয়ো বার্তা প্রকাশ করে আইএস জানায়, ‘এক মার্কিন খ্রিস্টান মহিলা’ তাদের হাতে বন্দি। তার পর মার্কিন সেনা বারবার অভিযান চালিয়ে কেলা-কে উদ্ধার করার চেষ্টা করেছে। এবং ব্যর্থ হয়েছে। সেই সব ‘ব্যর্থ অভিযানের’ জন্য তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকেই দুষেছেন মার্শা ও কার্ল ম্যুলার। তার পরে ২০১৫-র ফেব্রুয়ারিতে এক ভিডিয়ো বার্তায় আইএস দাবি করে, রাকায় আইএস জঙ্গি ঘাঁটির উপরে জর্ডনের বিমানহানায় নিহত হয়েছেন কেলা। ম্যুলার দম্পতিকে ফোন করে সমবেদনা জানিয়েছিলেন ওবামা।
আইএস প্রধান আল-বাগদাদি যে মেয়েকে যৌনদাসী বানিয়ে রেখেছিল, শুনেছিলেন কার্ল ও মার্শা। কিন্তু জানতেন না, সেই বাগদাদিকে ধরার জন্য সিরিয়ায় যে গোপন মার্কিন অভিযান চালানো হচ্ছে, সেই অভিযানের নাম রাখা হয়েছে তাঁদের মেয়ের নামেই। ট্রাম্প যখন কেলা-র মর্মান্তিক মৃত্যুর কথা সারা বিশ্বকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন, চোখের জল বাঁধ মানেনি ম্যুলার দম্পতির।
এখন একটাই আশা, বাগদাদি-অভিযানের সময়ে যে সব জঙ্গি মার্কিন সেনার হাতে ধরা পড়েছে, তাদের কাছ থেকে কেলা-র মৃত্যুর বিষয়ে কিছু খবর পাওয়া যাবে। জানা যাবে, সত্যিই বিমানহানায় মৃত্যু হয়েছিল কি না মেয়ের। মার্শার কথায়, ‘‘হতেই তো পারে যে, ও এখনও বেঁচে আছে। যত দিন ওর দেহ না পাচ্ছি, কিছুতেই মেনে নিতে পারব না যে ও আমাদের বাড়িতে আর ফিরে আসবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy