বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মও কড়া পদক্ষেপ করল রাশিয়ার বিরুদ্ধে
ইউক্রেনে হামলার জেরে গোটা বিশ্বেই কার্যত কোণঠাসা রাশিয়া। বহু দেশই আর্থিক নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করেছে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশের বিরুদ্ধে। এ বার বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মও কড়া পদক্ষেপ করল রাশিয়ার বিরুদ্ধে। ফেসবুক জানিয়েছে, হিংসা বা বিদ্বেষ রুখতে তাদের যে নীতি রয়েছে, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের জেরে তাতে পরিবর্তন করা হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে হিংসাত্মক মন্তব্যকে প্রশ্রয় দেওয়ারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই সংস্থাটি। যেমন, ‘রুশ আগ্রাসনকারীদের মৃত্যু’— এ ধরনের মন্তব্যকে আর ‘সেন্সর’ করা হবে না। তবে রাশিয়ার সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে কোনও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করা যাবে না। ইতিমধ্যেই মস্কোর বিরুদ্ধে নেটনাগরিকদের তুমুল বিরোধিতা ও নিন্দার ঝড় উঠেছে।
মেটা জানিয়েছে, সাময়িক ভাবে কিছু বিধি শিথিল করা হয়েছে। সাধারণত রাজনৈতিক মন্তব্য যা হিংসা ছড়াতে পারে, তা প্রশ্রয় দেওয়া হয় না। কিন্তু রুশ আগ্রাসনের বিরোধিতায় কিছু বিশেষ মন্তব্যকে সাময়িক ভাবে ‘সেন্সর’ করা হবে না। তবে রুশ নাগরিকদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য মেনে নেওয়া হবে না।
যদিও মস্কোও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে ফেসবুকের বিরুদ্ধে। তামাম বিশ্বের নেটনাগরিকদের বিরুপ প্রতিক্রিয়া রুখতে আর এক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টুইটারের উপরেও বিধিনিষেধ জারি করেছে রাশিয়া। এর পাশাপাশি দেশে নিরপেক্ষ সংবাদমাধ্যমের উপরেও সরকার বিরোধী মন্তব্য পরিহার করার ইঙ্গিত দিয়ে চাপ বাড়িয়েছে পুতিন প্রশাসন।
রুশ নিয়ন্ত্রক সংস্থা রসকমনাডজ়র আজ জানিয়েছে, ইনস্টাগ্রামের উপরেও নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করা হচ্ছে। কারণ, এই প্ল্যাটফর্মেও রুশ বিরোধী প্রচার করা হচ্ছে। সেনাদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের উপরেও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য আছড়ে পড়ছে। গত কাল মেটার অধীন অন্যতম সংস্থা ফেসবুকের রুশ বিরোধী পদক্ষেপের জেরেই মেটার আর এক সংস্থা ইনস্টাগ্রামের উপরে রুশ নিষেধাজ্ঞার খাড়া নেমে এসেছে বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞেরা।
বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ইউটিউব আজ জানিয়েছে, রুশ সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমের চ্যানেলগুলির বিরুদ্ধে আপাতত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। এর ফলে সংশ্লিষ্ট চ্যানেলগুলি ইউটিউবে দেখার সুযোগ মিলবে না। হিংসা মোকাবিলার ক্ষেত্রে সংস্থার যে নীতি রয়েছে, তাকে মান্যতা দিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে গুগলের এই স্ট্রিমিং ভিডিয়ো সারফেসটি। ইতিমধ্যেই রুশ সংস্থা আরটি, স্পুটনিকের ইউটিউব চ্যানেলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে ইউটিউব। একই পথে হেঁটেছে মেটাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy