ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ বার প্রতারণার জাল বিস্তার করছে প্রতারকরা। সেই জালে আটকে এক বহুজাতিক কোম্পানির কর্মী প্রায় ২১৫ কোটি টাকা খোয়ালেন। শুধু ওই কর্মী নন, ক্ষতির মুখে পড়ল কোম্পানিও। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সাইবার অপরাধীরা সংশিষ্ট এক কোম্পানির মুখ্য অর্থনৈতিক আধিকারিক (সিএফও) এবং অন্যান্য কর্মী হিসাবে পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে। এ ক্ষেত্রে ডিপফেক প্রযুক্তিকে ব্যবহার করেছে তারা।
সংবাদসংস্থা এএফপি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, হংকংয়ের একটি বহুজাতিক কোম্পানির অর্থ বিভাগে কর্মরত এক কর্মী কোম্পানির পক্ষ থেকেই ব্রিটেনের অন্য এক বহুজাতিক কোম্পানির সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে মিটিং করেছিলেন। সেই কলে ব্রিটেনের বহুজাতিক কোম্পানির তরফে ছিলেন তাদের সিএফও। তবে যিনি কলে ছিলেন। তিনি কোম্পানির আসল সিএফও নন। ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতারক আসল সিএফও-র মতো দেখতে নিজেকে তৈরি করেছিল। শুধু সে একা নয়, কলে উপস্থিত বাকিরাও ডিপফেকের মাধ্যমে নিজেদের আসল পরিচয় গোপন করে মিটিং করে।
প্রতারিত ওই কর্মী ভিডিয়ো কনফারেন্সের সময় বুঝতেই পারেননি যে, তিনি ‘নকল’ লোকেদের সঙ্গে কথা বলছেন। প্রতারকদের ‘বিশ্বাস’ করে প্রায় ২১৫ কোটি টাকা স্থানান্তরিত করেন তিনি। তবে পরে বিষয়টিতে খটকা লাগে তাঁর। প্রতারিত হয়েছেন, বুঝতে পেরে তড়িঘড়ি নিজের কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্তাদের জানান। তার পরই পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই কর্মী।
আরও পড়ুন:
হংকং পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে ব্রিটেনের কোম্পানির সঙ্গে মোট ১৫টি আর্থিক লেনদেন হয়েছে হংকংয়ের কোম্পানিটির। এই টাকা আসলে কোন অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। যদিও পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তদন্তের স্বার্থে প্রতারিত কোম্পানির নামও প্রকাশ্যে আনা হয়নি।
এএফপি-র প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ডিপফেকের মাধ্যমে ব্রিটেনের যে কোম্পানির সিএফও এবং কর্মীদের পরিচয় ভাঁড়িয়ে ফাঁদ পেতেছিল প্রতারকরা, তাঁদের অডিয়ো এবং ভিডিয়ো ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। তার পর সেগুলি পর্যবেক্ষণ করার পরেই ‘নকল’ বানানো হয়েছিল।