মা দুর্গা অনেকটা ঘরের ঠাকুরের মতো। ফাইল ছবি
দক্ষিণ সুইডেন বেঙ্গলি কালচারাল সোসাইটির পুজো এ বার ছ’বছরে পা দিল। এ বছর থিম ‘আত্মজা’—নারীশক্তির ক্ষমতায়নের প্রতীক।
প্রতি বার দু’দিন দুর্গাপুজো করে দক্ষিণ সুইডেন বেঙ্গলি কালচারাল সোসাইটি। এ বার সেটা বেড়ে হয়েছে তিন দিন। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে পুজোর আয়োজন হবে।
প্রতি বছর কলকাতা থেকে প্রতিমা আনতে অনেক খরচ পড়ে যায়। তাই আমরা পুজোর পরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত স্টোরেজে প্রতিমা সংরক্ষণ করি। পরের বছর আবার সেই প্রতিমায় পুজো হয়। এখানে মা দুর্গা অনেকটা ঘরের ঠাকুরের মতো।
প্রবাসে পুজোর আয়োজন করা বেশ কঠিন। পুজোর জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাওয়া যায় না। সুইডেনে অক্টোবরের শীতে বাইরে পুজোর আয়োজন করা সম্ভব হয় না। এ বার আমরা বেশ জনপ্রিয় একটা অনুষ্ঠানের জায়গায় আয়োজন করছি। ষষ্ঠী থেকে দশমী রকমারি ভোজের ব্যবস্থা হয়েছে। থাকছে ছানার ডালনা, আলু-ফুলকপি, কাশ্মীরি আলু, মাছ, মাংস, পোলাও, বিরিয়ানি আর মিষ্টি।
পুজোর কটা দিন দারুণ হই-হুল্লোড়ের মধ্য দিয়ে কেটে যায়। সবাই মিলে ভোগ রান্না, কব্জি ডুবিয়ে খাওয়ার সঙ্গে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কেউ করেন আবৃত্তি, কেউ গান, কেউ নাচ বা নাটক। প্রস্তুতি চলে মাস খানেক ধরে। প্রতি বছরের মতো এ বছরও ধুনুচি নাচ, মোমবাতি জ্বালানোর মতো প্রতিযোগিতার পরিকল্পনা করেছি। সিঁদুর খেলা, দেবী বরণ ও বিসর্জনের নাচে দু’পার বাংলার বাঙালির সঙ্গে যোগ দেন অন্যান্য প্রদেশের ভারতীয় ও বিদেশিরাও। উৎসব প্রাঙ্গণ হয়ে ওঠে সত্যিকারের বিশ্বায়নের প্রতিচ্ছবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy