দুর্গাপুজোর সময়ে মন খারাপের দিন শেষ হতে চলেছে ফ্রাঙ্কফুর্টবাসী বাঙালির। ফাইল ছবি
আমাদের সাধের, আমাদের প্রতীক্ষার উৎসব দুর্গাপুজো আসন্ন। থাকি সুদূর ফ্রাঙ্কফুর্টে। কিন্তু তাতে কী! এ বার দুর্গাপুজোর সময়ে মন খারাপের দিন শেষ হতে চলেছে ফ্রাঙ্কফুর্টবাসী বাঙালির। জার্মানির ‘বাণিজ্য রাজধানী’ ফ্রাঙ্কফুর্টে পুজোর আনন্দ উপভোগ করতে এ বার কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে ‘বেঙ্গলিজ় অ্যান্ড ভারতীয়জ় ইন হেসেন রাইন মাইন’ (বিএইচআরএম) সাংস্কৃতিক সংগঠন। এ বছর আমাদের বিশেষ নিবেদন ‘প্রবাসে বাড়ীর পুজো’।
যে মেয়ে নাচে, সে আলপনাও দেয়, ভোগও রাঁধে, উলুও দেয়, আবার অফিসের ‘প্রেজ়েন্টেশন’ও ঠিক সময়ে শেষ করে। ‘বিএইচআরএম’-এর এ বারের ‘বাড়ির পুজোয়’ তাই থাকছে আমাদের আটপৌরে দৈনন্দিন জীবনের দশভূজাদের একত্রিত উদ্যাপন। বিদেশের ভীষণ ব্যস্ত রোজনামচার মধ্যেও পাঁচ দিনের জন্য মায়ের আরাধনা আর সঙ্গে হুল্লোড়, হাসি, আনন্দ-ঠাট্টা সব কিছুর স্বাদ পেতে চলেছে প্রবাসী বাঙালী। মহালয়ার ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চণ্ডীপাঠের নস্ট্যালজিয়া, ঢাকের বাদ্যি, লালপেড়ে শাড়িতে মেয়েদের সিদুঁরখেলা, ধুনুচি নাচ— এ সবের সাক্ষী থাকবেন এখানকার বাঙ্গালিরা।
ষষ্ঠী থেকে দশমী প্রতিদিনই থাকছে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নাচ-গান, শ্রুতি নাটক, কচিকঁাচাদের জন্য বসে আঁকো আর বড়দের জন্য উলু ও শঙ্খধ্বনির প্রতিযোগিতা। থাকছে কেতাদুরস্ত ‘ওপেন মাইক নাইট’ আর লাইভ ব্যান্ডের সৌজন্যে কলকাতার পুজোর গান। আর পেটপুজো বাদ দিয়ে তো পুজো হয় না। তাই খাবারের মেনুকে ঢেলে সাজানো হয়েছে সাবেক স্টাইলে। খিচুড়ি-লাবড়া, কষা মাংস-পোলাও, পায়েস-চাটনি বাদ নেই কিছুই। আমরা নিশ্চিত, ফ্রাঙ্কফুর্টেই এ বার আমরা খুঁজে পাব ম্যাডক্সের চেনা পুজোর হুল্লোড়ের আমেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy