—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পুজোর আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। এ মাসের ৫ তারিখ সুদূর কুমোরটুলি থেকে পুজো-পুজো গন্ধ নিয়ে ফ্রাঙ্কফুর্টের মাটিতে পদার্পণ করলেন মা দুর্গা এবং তাঁর ছেলেমেয়েরা। ‘বেঙ্গলিজ় উন্ড ভারতীয়স ইন হেসেন ঋাইন্-মাইন্ এরিয়া (বিএইচআরএম)’ ইভি-র উদ্যোগে এ বার কলকাতার দুর্গাপুজোর স্বাদ পাবেন ফ্রাঙ্কফুর্টবাসী বাঙালি। আমাদের অন্যান্য অনুষ্ঠানের মতো এ বারেও উৎসবের আনন্দে একত্রিত হবেন ভারতীয় ও জার্মানেরা। ষষ্ঠীর আগমনী থেকে দশমীর ধুনুচি নাচ ও সিঁদুর খেলা, পাঁচ দিনের মহাসমারোহে মেতে উঠবে জার্মানির 'বাণিজ্যিক রাজধানী'। থাকবে নাচ, গান, নাটক, নৃত্য-নাট্য প্রভৃতি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সম্ভার এবং শঙ্খ-বাজানো, প্রদীপ-জ্বালানো প্রভৃতি নানাবিধ মজার প্রতিযোগিতা। আমাদের খুদে সদস্যদের জন্য থাকছে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা। পেটপুজো বাদ দিলে চলবে কেন? লুচি-আলুরদম, থেকে পোলাও-মাংস, বাদ যাবে না কিছুই।
দৈনন্দিন ব্যস্ততার মধ্যে এই পাঁচ দিন পুজোর কাজে হাত মেলাতে প্রস্তুত আমাদের সদস্যরা। নাচ ও নাটকের মহড়া শেষ। বাড়ি ও অফিসের কাজ সামলে আলপনা দেওয়া, ভোগ রান্না করা এবং পুজোর যাবতীয় খুঁটিনাটি কাজে যোগদান করতে কোমর বাঁধছেন আমাদের দশভূজারা।
বিএইচআরএম-এর দুর্গোৎসব উদ্যাপন শুরু হয় ২০২০ সালে, কিন্তু অতিমারির প্রকোপে ২০২০ ও ২০২১ সালের পুজোর আনন্দ সীমাবদ্ধ থেকে যায় কম্পিউটার স্ক্রিনে, ভার্চুয়াল শৈলীতে। ২০২২-এ প্রথমবার ফ্রাঙ্কফুর্টের বুকে সর্বজনীন দুর্গোৎসবের আয়োজন করি আমরা; মায়ের আরাধনার সাথে নাচ-গান, হাসি, ঠাট্টায় কেটে যায় পাঁচ দিন। আর এ বছর আমাদের আনন্দ দ্বিগুণ করে দিতে আমরা পেয়েছি সাবেকি ছাঁচে তৈরি দুর্গাপ্রতিমা। আমি নিশ্চিত যে এই বিদেশ-বিভূঁইয়ে বসেই আমরা প্রত্যক্ষ করব উত্তর কলকাতার উচ্ছ্বাস ও দক্ষিণ কলকাতার জনসমাবেশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy