‘বন্ধু’ ফরাসি রাষ্টপ্রধানকে অশ্লীল কটাক্ষ ট্রাম্পের! ফাইল চিত্র।
ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং বিতর্ক যেন সমার্থক। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করে আবার সংবাদ শিরোনামে আমেরিকার এই প্রাক্তন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। পর্নতারকাকে ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ করার দায়ে অভিযুক্ত হওয়ার পর প্রথম বারের জন্য আমেরিকার একটি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন ট্রাম্প। সেখানেই তিনি দাবি করেন যে, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে আমেরিকার গুরুত্ব ক্রমশ কমছে। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই তিনি বিতর্কিত মন্তব্য করে বলেন, “আমার বন্ধু মাকরঁ এখন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পশ্চাদ্দেশে চুম্বন করছেন।” তাঁর এই অশ্লীল মন্তব্য নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। ফরাসি প্রেসিডেন্টকে কটাক্ষ করলেও তাঁকে ‘নিজের বন্ধু’ বলে সম্বোধন করেছেন ট্রাম্প।
কিছু দিন আগেই চিন সফরে গিয়েছিলেন মাকরঁ। চিন সফর থেকেই ফরাসি প্রেসিডেন্ট জানান, আমেরিকার বিদেশনীতি অনুসারে ইউরোপের দেশগুলির বিদেশনীতি পরিচালনা করা উচিত নয়। আমেরিকার ‘মিত্র দেশ’ হিসাবেই পরিচিত ফ্রান্স। কিন্তু মাকরঁর এই মন্তব্যের পরেই নয়া জল্পনা শুরু হয়ে যায়। আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখতে ফ্রান্স অনীহা দেখাবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট জানান, তাইওয়ান নিয়ে ওয়াশিংটন এবং বেজিংয়ের মধ্যে সংঘাত চললেও তার মধ্যে ইউরোপীয় দেশগুলির হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। তাইওয়ান নিয়ে তাঁর চিনের সঙ্গে কথা হয়েছে বলেও জানান মাকরঁ।
তাইওয়ানকে চিন তাঁদের মূল ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করলেও আমেরিকা বরাবরই দ্বীপভূমিটির স্বশাসনের পক্ষে থেকেছে। আমেরিকার সংসদের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজ়েন্টেটিভসের তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরই চিন এবং আমেরিকার মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হয়, যা এখনও চলছে। এই আবহেই ফ্রান্সের এই সুরবদলকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে। আমেরিকার গুরুত্ব হ্রাস পাওয়া প্রসঙ্গে ট্রাম্পের মত, ফ্রান্সও এ বার চিনের দিকে ঢলে পড়ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy