Advertisement
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

‘খবর’ থাকলে শুনতে আগ্রহী: ট্রাম্প

২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে রুশ প্রভাব খাটানো নিয়ে ট্রাম্পকে ঘিরে বিতর্ক এখনও সম্পূর্ণ মেটেনি। এরই মধ্যে তাঁর এ হেন ‘স্বীকারোক্তি’।

শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৯ ০৪:০১
Share: Save:

বিদেশি সরকারের সঙ্গে কথা বলতে কোনও আপত্তি নেই, যদি তাঁর ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী সম্পর্কে কোনও ‘চাঞ্চল্যকর তথ্য’ দিতে পারে তারা। একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই ‘বিস্ফোরক’ মন্তব্য করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে রুশ প্রভাব খাটানো নিয়ে ট্রাম্পকে ঘিরে বিতর্ক এখনও সম্পূর্ণ মেটেনি। এরই মধ্যে তাঁর এ হেন ‘স্বীকারোক্তি’। ২০২০ সালের আসন্ন মার্কিন সাধারণ নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে, বিদেশি ‘খবরদাতাদের’ অভয় দিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘সে রকম কোনও তথ্য পেলে এফবিআইকে কিছু জানানো হবে না। আমি তো শুনতে চাই। আমার মনে হয়, আপনারাও শুনতে চাইবেন। শুনতে তো কোনও অসুবিধা নেই।’’ আরও ভেঙে বলেন, ‘‘যদি কেউ নরওয়ে থেকে ফোন করে বলেন, আপনার প্রতিদ্বন্দ্বীর সম্পর্কে খবর আছে— আমি তো শুনবই।’’ টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের ভিডিয়োটি সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, ট্রাম্প বলছেন, ‘‘কেউ যদি এসে বলেন, খবর আছে, আপনি কি এফবিআইকে ফোন করবেন? জীবনে অনেক কিছু দেখেছি। কোনও দিন এফবিআইকে ফোন করিনি। অন্যদের অফিস থেকে বার করে দিন, আর নিজের কাজটা চালিয়ে যান।’’ ট্রাম্পের এ ধরনের কথাবার্তায় ডেমোক্র্যাটরা অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। ২০২০-র নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী নিউ ইয়র্কের ডেমোক্র্যাট সেনেটর কির্স্টেন জিলিব্র্যান্ড টুইট করেছেন, ‘‘মার্কিন কংগ্রেসের এ বার ইমপিচমেন্ট নিয়ে শুনানি শুরু করা উচিত।’’

২০১৬ সালের নির্বাচনে এ রকমই বিদেশি-প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছিল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। খবর ছিল, ট্রাম্পের বড় ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র একটি গোপন বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন। এক রুশ আইনজীবী ট্রাম্প-প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিন্টনের সম্পর্কে বেশ কিছু নেতিবাচক তথ্য তুলে দিয়েছিলেন তাঁদের হাতে। এ ঘটনার তদন্তকারী বিশেষ আইনজীবী রবার্ট মুলার সম্প্রতি তাঁর রিপোর্টে ট্রাম্পকে ‘ক্লিন চিট’ দিলেও জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট অপরাধ করেছেন কি না, সে ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত হতে পারেননি। কিন্তু তার থেকেও বড় বিষয়, বিচারবিভাগের নীতি অনুযায়ী, পদে থাকাকালীন কোনও প্রেসিডেন্টকে কেন্দ্রীয় অপরাধমূলক আইনে অভিযুক্ত করা যায় না। সেটা অসাংবিধানিক। তাই প্রেসিডেন্টকে অভিযুক্ত করার কোনও উপায় নেই তাঁর হাতে।

সংবাদ সংস্থা

অন্য বিষয়গুলি:

Donald Trump Presidential Election
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy