Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
International News

ঐতিহাসিক পদক্ষেপ ট্রাম্পের, প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে পা রাখলেন উত্তর কোরিয়ার মাটিতে

বৈঠককে শান্তির করমর্দন আখ্যা দিয়ে কিম বলেন, ‘‘উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তরেখায় এই বৈঠকই প্রমাণ করে, আমরা অতীতকে পিছনে ফেলে এসেছি।’’

উত্তর কোরিয়ার মাটিতে কিম জং উনের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এপি

উত্তর কোরিয়ার মাটিতে কিম জং উনের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এপি

সংবাদ সংস্থা
পিয়ংইয়ং শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৯ ১৮:০৬
Share: Save:

উত্তর কোরিয়া-আমেরিকার ঠান্ডা যুদ্ধ মেটাতে আচমকাই এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। উত্তর কোরিয়ায় গিয়ে প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠক করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পদে থাকাকালীন এই প্রথম কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট উত্তর কোরিয়ার মাটিতে পা রাখলেন। দুই কোরিয়ার বিভাজন রেখা বা সীমান্ত কোরিয়ান ডিলিমিটাইজড জোন-এ (ডিএমজেড) গিয়ে উত্তর কোরিয়ার ‘স্বৈরাচারী’ শাসক কিম জং উনের সঙ্গে করমর্দন করেন। দু’জনের একটি বৈঠকও হয়। ট্রাম্পের এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপে ওয়াশিংটন-পিয়ংইয়ং-এর মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হবে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক শিবির।

কিম-ট্রাম্প বৈঠকে দুই রাষ্ট্রপ্রধানই উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র সমস্যার সমাধান করতে কার্যকরী পর্যায়ের বৈঠকে সম্মত হয়েছেন। এ দিন প্রথমে ডিএমজেড-এ দাঁড়িয়ে করমর্দন করেন দু’জন। তার পর সেখান থেকে হেঁটে উত্তর কোরিয়ার মাটিতেও পা রাখেন কিম। সেখানে দাঁড়িয়ে আরও এক বার হাত মেলান কিমের সঙ্গে। দু’জনের মধ্যে কিছুক্ষণের জন্য একটি বৈঠকও হয়। বৈঠকের পর ট্রাম্প বলেন, ‘‘গোটা বিশ্বের কাছে এ এক বিরাট দিন। এখানে আসতে পারা আমার কাছে সম্মানের। অনেক কিছু ঘটতে চলেছে।’’

অন্য দিকে এই বৈঠককে শান্তির করমর্দন আখ্যা দিয়ে কিম বলেন, ‘‘উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তরেখায় এই বৈঠকই প্রমাণ করে, আমরা অতীতকে পিছনে ফেলে এসেছি।’’ ট্রাম্পও বলেছেন, ‘‘কিম তাঁর পছন্দমতো যে কোনও সময়ে হোয়াইট হাউসে স্বাগত।’’

ইঙ্গিতটা অবশ্য শনিবারই মিলেছিল ট্রাম্পের টুইটে। তিনি লিখেছিলেন, পিয়ংইয়ং-ওয়াশিংটনের অচলাবস্থা কাটাতে বোঝাপড়ার চেষ্টা চলছে। আর তার পরের দিনই উত্তর কোরিয়ায় ট্রাম্পের পৌঁছে যাওয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত কূটনৈতিক মহলের। পিয়ংইয়ং-এর পরমাণু অস্ত্র ভাণ্ডার নিয়ে বরাবরই উদ্বিগ্ন আমেরিকা। অনেক বার কোরিয়াকে হুমকি-হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। পাল্টা তোপ দেগেছেন কিমও। এই পরিস্থিতিতে সশরীরে ট্রাম্পের উপস্থিতি সম্পর্কের বরফ অনেকটাই গলতে পারে।

যদিও এই উষ্ণতা চিরস্থায়ী কি না, তা নিয়ে সন্দিহান কূটনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ। কারণ কিম-ট্রাম্প সম্পর্কে এই রকম উত্থান পতন গত কয়েক বছরে বারবারই দেখেছে আন্তর্জাতিক বিশ্ব। কখনও দু’জন দু’জনের প্রেমে পড়েছেন, তো পরক্ষণেই আবার দু’জন দু’জনকে কঠোর শাস্তির হুমকি দিয়েছেন।

আরও পডু়ন: ভাঙন রুখতে মরিয়া তৃণমূল, দিল্লির ডাক পাওয়ার আগেই শোভনের বাড়িতে হাজির মমতার দূত

আরও পডু়ন: বিপন্ন ধর্ম-বিশ্বাস! অভিনয় ছাড়লেন দঙ্গল-কন্যা জায়রা, ঘোষণা সোশ্যাল মিডিয়ায়

গত দু’বছরে তিন বার মুখোমুখি হয়েছেন ট্রাম্প-কিম। ২০১৭ সালে ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসেই হুমকি দিয়েছিলেন, উত্তর কোরিয়াকে ধ্বংস করে দেওয়া হবে। কিমও জবাব দিয়েছিলেন, আমেরিকার যে কোনও জায়গায় পরমাণু হামলা চালাতে পারি আমরা। পরের বছর সিঙ্গাপুরে দু’জনের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকের পরই ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘‘আমরা প্রেমে পড়ে গিয়েছি।’’ এর পর ভিয়েতনাম। কিন্তু সেই বৈঠক পুরোপুরি ভেস্তে যায়। ফলে এ বারের বৈঠকের পরও যে আবার দুই রাষ্ট্রনেতার তথা দু’দেশের তিক্ততা বাড়বে না, এমন নিশ্চয়তা দিতে পারছে না আন্তর্জাতিক মহল।

অন্য বিষয়গুলি:

Donald Trump USA Kim Jong Un North Korea
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy