ছবি এএফপি।
গত কাল চুপ ছিলেন। আজ মুখ খুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আমেরিকায় ব্রিটেনের দূত কিম ডারোখ লন্ডনে গোপন কূটনৈতিক কেব্ল পাঠিয়ে ট্রাম্প সম্পর্কে বলেছিলেন, তিনি অযোগ্য ও অদক্ষ। সেই কেব্ল একটি ট্যাবলয়েডে ফাঁস হয়ে যাওয়ায় তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
ট্রাম্প আজ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘উনি ব্রিটেনের জন্য ভাল কাজ করেননি, এটা আপনাদের বলতে পারি। আমরাও লোকটির খুব বড় ভক্ত নই। চাইলে ওঁর সম্পর্কে অনেক কিছুই বলতে পারি, কিন্তু ওঁকে নিয়ে মন্তব্য করব না।’’
কিন্তু এ ধরনের গোপন কেব্ল কী ভাবে ফাঁস হল এবং ট্যাবলয়েডের হাতে গেল, তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ব্রিটেনের বিদেশ মন্ত্রক। দূতের এই মন্তব্যের জেরে আমেরিকার সঙ্গে তাদের সম্পর্কে যাতে কোনও আঁচ না পড়ে, তার জন্য সক্রিয় হয়েছে ব্রিটেনের প্রশাসন।
ডারোখের মন্তব্য থেকে দূরত্ব বজায় রেখে বিদেশমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেছেন, ‘‘দূত দূতের কাজ করছিলেন। যে দেশে তিনি কর্মরত, সেখানকার বিস্তারিত রিপোর্ট এবং সে দেশ সম্পর্কে তাঁর যা ব্যক্তিগত মতামত, তা জানিয়েছেন। কিন্তু সেটা একান্ত তাঁর ব্যক্তিগত মত, আমারও নয়, ব্রিটিশ সরকারেরও নয়।’’
এর পরেই হান্টের সংযোজন, ‘‘আমরা এখনও মানি, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে মার্কিন প্রশাসন অসম্ভব কার্যকরী পথে এগিয়ে চলছে। আর আন্তর্জাতিক স্তরে তারা ব্রিটেনের পরম বন্ধু।’’ হান্টের এই মন্তব্যের গুরুত্ব রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন তিনি। নাম রয়েছে বরিস জনসনেরও। তবে রাজনৈতিক ভাবে বরিসের সঙ্গে ট্রাম্পের সমীকরণ ততটা জোরালো নয়।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমের বিশ্লেষণ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেন বেরিয়ে গেলে আমেরিকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের অনেক বেশি প্রয়োজন হবে ব্রিটেনের।
তখন ট্রাম্প দর কষাকষিতে কতটা নরম হবেন, সেটা এমনিই ব্রিটেনের পক্ষে চিন্তার। এর মধ্যে ডারোখের মন্তব্য ফাঁস পরিস্থিতি আরও জটিল করবে, সন্দেহ নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy