পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগ দিতে শনিবার ভ্যাটিকানে গিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। সেখানেই বৈঠক হল দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। ২৮ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে দু’জনের তুমুল বাগ্যুদ্ধের পর এই প্রথম মুখোমুখি হলেন ট্রাম্প এবং জ়েলেনস্কি।
হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, পোপের শেষকৃত্য শুরু হওয়ার আগে ট্রাম্প এবং জ়েলেনস্কি শনিবার একান্তে বৈঠক করেন। বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে আমেরিকার তরফে। বৈঠকের একটি ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন জ়েলেনস্কি। সেখানে দেখা যাচ্ছে প্রাচীন কারুকার্য করা মেঝের উপর দু’টি লাল রঙা চেয়ারে মুখোমুখি বয়ে রয়েছেন তিনি এবং ট্রাম্প।
জেলেনস্কি বৈঠককে ‘ভাল এবং ঐতিহাসিক’ বলে অভিহিত করে লেখেন, “একটি বিষয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। আশা করছি আমাদের মানুষজনকে রক্ষা করতে পারব। ভরসাযোগ্য এবং দীর্ঘমেয়াদি শান্তি আর একটা যুদ্ধের হাত থেকে রক্ষা করবে।” জ়েলেনস্কি না-বললেও মনে করা হচ্ছে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। আমেরিকা দীর্ঘ দিন ধরেই এই যুদ্ধবিরতির বিষয়ে মধ্যস্থতা করতে চেয়েছে। তবে যে ভাবে রুশ সেনা ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে ক্ষুব্ধ পেন্টাগন। হোয়াইট হাউস সম্প্রতি জানিয়েছে, এই বিষয়ে তাদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটছে।
আরও পড়ুন:
গত সোমবার ৮৮ বছর বয়সে প্রয়াত হন পোপ ফ্রান্সিস। শনিবার তাঁর শেষকৃত্যে যোগ দিতে ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা গির্জায় যান ট্রাম্প। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পও। ভ্যাটিকান যান জ়েলেনস্কিও। ভারতের প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে জ়েলেনস্কির সঙ্গে প্রবল বাগ্যুদ্ধ হয়েছিল ট্রাম্প এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের। বৈঠক অসম্পূর্ণ রেখেই হোয়াইট হাউস ছেড়েছিলেন জ়েলেনস্কি। তার পর নানা উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে আমেরিকা-ইউক্রেন সম্পর্ক।