চারটি দেশের প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ ‘বৈধ’ অভিবাসীর আইনি সুরক্ষা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। শুক্রবার হোয়াইট হাউসের তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে। চারটি দেশের নামও জানিয়ে দিয়েছে ওয়াশিংটন। এই ঘোষণার পর অনেকের আশঙ্কা, ট্রাম্প হয়তো এই সমস্ত অভিবাসীকেই আমেরিকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। সেই কারণেই আইনি সুরক্ষা প্রত্যাহার করলেন।
আমেরিকার স্বদেশ নিরাপত্তা (হোমল্যান্ড সিকিউরিটি) দফতর শুক্রবার জানিয়েছে, মোট ৫ লক্ষ ৩০ হাজার অভিবাসীর আইনি সুরক্ষা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁরা হাইতি, ভেনেজ়ুয়েলা, নিকারাগুয়া এবং কিউবার বাসিন্দা। আমেরিকার ফেডেরাল রেজিস্টারে এই সংক্রান্ত একটি নোটিস প্রকাশিত হবে। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে এবং তার পরে এই চার দেশ থেকে যাঁরা আমেরিকায় এসেছেন, তাঁদের কাছে আমেরিকায় থাকা এবং কাজ করার জন্য দু’বছরের অনুমতি ছিল। নোটিস প্রকাশের এক মাসের মাথায় আগামী ২৪ এপ্রিল এই অভিবাসীরা আইনি সুরক্ষা হারাবেন বলে জানিয়েছে ট্রাম্পের প্রশাসন।
আরও পড়ুন:
এই চার দেশের অভিবাসীদের অর্থনৈতিক স্পনসরের মাধ্যমে আমেরিকায় প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেই সিদ্ধান্তই বাতিল করলেন ট্রাম্প। তবে এই অভিবাসীদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে— এমন কোনও নির্দেশ এখনও ট্রাম্প দেননি। অনেকের মতে, আইনি সুরক্ষা প্রত্যাহার করে আগে এই অভিবাসীদের ‘অবৈধ’ করবেন ট্রাম্প। এর পরেও তাঁরা আমেরিকায় থাকলে তা ‘অবৈধ’ হিসাবেই গণ্য হবে। তখন তাঁদের বিতাড়নে আর কোনও বাধা থাকবে না।
যাঁরা অবৈধ ভাবে আমেরিকার সীমান্ত পেরিয়েছেন, বা ভিসার মেয়াদ শেষের পরেও অবৈধ ভাবে সে দেশে থেকে গিয়েছেন, তাঁদের প্রতি মার্কিন সরকারের অবস্থান কঠোর। আমেরিকায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অবৈধ অভিবাসীদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানোর কাজ শুরু করেছেন ট্রাম্প। ভারতেও বেশ কয়েক দফায় অবৈধবাসীদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার হোয়াইট হাউসের ঘোষণার পর থেকে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন আমেরিকায় বসবাসকারী ওই চার দেশের নাগরিকেরা।