ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং তুরস্কেপ প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়িপ এর্ডোয়ান।
পাকিস্তানের মাটিতে দাঁড়িয়ে কাশ্মীর নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়িপ এর্ডোয়ানকে আজ কড়া বার্তা দিল বিদেশ মন্ত্রক। জানিয়ে দিল, কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এর্ডোয়ান যেন ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না-গলান। এর পাশাপাশি, কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতার কথা বলায় মার্কিন সেনেটর লিন্ডসে গ্রাহামকেও একহাত নিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
কাল পাক পার্লামেন্টে কাশ্মীর প্রসঙ্গে ‘বন্ধু’ পাকিস্তানের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এর্ডোয়ান। জানিয়েছেন, কাশ্মীরে ‘শান্তি’ ফেরাতে পাকিস্তানের যে কোনও পদক্ষেপকেই সমর্থন করবে তাঁর দেশ। কালই এতে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া না-দিয়ে, আজ কড়া বিবৃতি দিল বিদেশ মন্ত্রক। ফের জানাল, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের সিদ্ধান্ত একেবারেই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে অন্য কোনও দেশ নাক গলালে, তা বরদাস্ত করা হবে না। এর্ডোয়ান কাল যা বলেছেন, কাশ্মীর-বিবৃতির সেই অংশটুকু ভারত সম্পূর্ণ ভাবে খারিজ করছে বলে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।
গত সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রপুঞ্জের বার্ষিক সাধারণ সভাতেও কাশ্মীর প্রসঙ্গ পেড়ে ভারতের তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়েছিলেন এর্ডোয়ান। কাশ্মীরের পরিস্থিতি এবং বিশেষ মর্যাদা লোপের বিষয়টি যে স্পর্শকাতর, তা স্বীকার করেই মন্ত্রক সে বার তুর্কি প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছিল, আগ বাড়িয়ে তিনি যেন ফের কাশ্মীর নিয়ে কোনও কথা না-বলেন। কাল অবশ্য পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাশে বসেই এর্ডোয়ানকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘দ্বন্দ্ব আর অত্যাচার দিয়ে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হবে না। একমাত্র সুবিচার আর সাম্যের মাধ্যমেই সমাধান হতে পারে। কাশ্মীর যতটা আপনাদের (পাকিস্তান) হৃদয়ের কাছের, ততটাই আমাদের।’’ কথা প্রসঙ্গে প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালীন গালিপোলির যুদ্ধের সঙ্গেও বর্তমান কাশ্মীর পরিস্থিতির তুলনা করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। ভারত এতে বেজায় ক্ষুব্ধ।
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কে জোর দিতে চাওয়ার পাশাপাশি এর্ডোয়ান কাল জানান, ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)-এর ‘ধূসর তালিকা’ থেকে পাকিস্তানের নাম যাতে বাদ পড়ে, সে চেষ্টাও করবে তুরস্ক। তাঁর যুক্তি, গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাস-দমনে পাকিস্তান যা করেছে, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিদেশ মন্ত্রক আজ এ নিয়েও এর্ডোয়ানকে একহাত নিয়ে বলেছে, ‘‘তুরস্কের বরং উচিত পাকিস্তান থেকে বেড়ে ওঠা সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আরও সতর্ক থাকা।’’
২৬/১১ মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সইদের পাঁচ বছর কারাদণ্ড হওয়ায় ‘সন্ত্রাস-মোকাবিলার’ পাক ভূমিকার প্রশংসা করতে শোনা গিয়েছে আমেরিকাকেও। মার্কিন সেনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম আবার মিউনিখের এক নিরাপত্তা বিষয়ক সম্মেলনে কাশ্মীর প্রসঙ্গে কার্যত মধ্যস্থতার ইঙ্গিত দিয়ে বিরক্তি বাড়িয়েছেন নয়াদিল্লির। তাঁর দাবি, দুই গণতান্ত্রিক দেশই (ভারত ও পাকিস্তান) পারে কাশ্মীর সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে। জবাবে জয়শঙ্কর আজ লিন্ডসেকে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেন, ‘‘আপনি দয়া করে বেশি চিন্তা করবেন না। আমরা নিজেরাই সব সমস্যার সমাধান করে ফেলব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy