স্ট্যালিন।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মধ্যে নতুন করে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে শ্রীলঙ্কা থেকে আসা তামিল শরণার্থীর প্রশ্নটি। রাজনৈতিক শিবিরের মতে, সংসদের দুই কক্ষে এই বিলটি পাশ করানোর সময় তামিল শরণার্থী প্রসঙ্গটি পুরোপুরি বাদ রেখেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। বিলটি পাশ করানোর সময় তাতে সমর্থনও দিয়েছে বিজেপি-র দক্ষিণের শরিক দল এডিএমকে। এতে এক দিকে যেমন তামিলনাড়ুতে প্রায় ৬০ হাজার তাঁবুতে আশ্রিত এক লাখ তামিলকে (শ্রীলঙ্কা থেকে আসা) ফেরত পাঠানোর কথা বলা হয়নি, তেমনই এঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়নি। তার পরেই বিষয়টি তুলে ধরে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আসরে নেমেছে প্রধান বিরোধী দল ডিএমকে।
এডিএমকে সূত্রের দাবি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ই কে পলানিস্বামীর কথা হয়েছে। তামিল শরণার্থীদের চিহ্নিত করা শীঘ্রই শুরু হবে। ১৯৮৩ সালের পরে যে সব তামিল হিন্দু শ্রীলঙ্কায় জাতিদাঙ্গার শিকার হয়ে এ দেশে পালিয়ে আসেন, তাঁদের বেশির ভাগই রয়েছেন বিভিন্ন শিবিরে। তাঁদের অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবেই দেখা হয়। শ্রীলঙ্কায় তাঁরা ফিরতে চান না, কারণ সেখানকার সংখ্যালঘুদের হাতে নিপীড়িত হওয়ার ভয় রয়েছে। এই তামিল জনগোষ্ঠীকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য লড়াই করছে সেখানকার বিভিন্ন তামিল অধিকাররক্ষাকারী সংগঠন। ডিএমকে বলছে, দশকের পর দশক নয়াদিল্লি মুখ ফিরিয়ে থেকেছে। আজ যখন গোটা দেশে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়ার তোড়জোড় চলছে, তখন শ্রীলঙ্কা থেকে জীবন বাঁচাতে আসা তামিল হিন্দুদের কথা ভাবা হবে না কেন?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy