কৃষ্ণসাগরে রুশ যুদ্ধবিমান ও আমেরিকার ড্রোনের সংঘর্ষের পরেই দুই দেশের মধ্যে বেধেছে তরজা। ফাইল ছবি।
কৃষ্ণসাগরে রুশ যুদ্ধবিমান ও আমেরিকার ড্রোনের সংঘর্ষের পরেই দুই দেশের মধ্যে বেধেছে তরজা। ঘটনাটা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বিবরণ দিচ্ছে দুই দেশের প্রশাসন। আমেরিকার দাবি, রুশ যুদ্ধবিমানের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীনতা’র কারণেই ঘটনাটি ঘটেছে। রাশিয়ার পাল্টা দাবি, রুশ এলাকায় প্রবেশ করছিল ড্রোনটি। এর পাশাপাশি, আমেরিকার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্নও তোলা হয়েছে মস্কোর তরফে। প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরুর পরে এই প্রথম সংঘর্ষ হল দুই দেশের।
মঙ্গলবার আমেরিকার এমকিউ-৯ ড্রোনের সঙ্গে রাশিয়ার এসইউ-২৭ যুদ্ধবিমানের সংঘর্ষের বিষয়ে আমেরিকার বায়ুসেনার ইউরোপীয় ও পূর্ব আফ্রিকার কমান্ডার জেমস হেকার বলেছেন, ‘‘আমাদেরএমকিউ-৯ ড্রোন আন্তর্জাতিক এলাকায় নিয়ম মাফিক টহল দিচ্ছিল। তখনই ঘটে এই ঘটনা। সংঘর্ষের আগে দীর্ঘ ক্ষণ ড্রোনটির সামনে বেপরোয়া ভাবে উড়েছে বিমানটি। ড্রোনের উপরে জ্বালানিও ফেলেছে সেটি।’’ বলা চলে, প্রকারান্তরে ড্রোন ধ্বংসের পিছনে রাশিয়াকেই দায়ী করছে আমেরিকা।
সেই অভিযোগ অস্বীকার করে রাশিয়ার দাবি, যুদ্ধবিমানের কোনও অস্ত্রই ব্যবহার করা হয়নি ড্রোনের উপর। জ্বালানিও ফেলা হয়নি। বরং ড্রোনটি কৃষ্ণসাগরের উপর ক্রাইমিয়ার সীমান্ত পেরিয়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছিল। সংঘর্ষে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিজেই ভেঙে পড়ে সেটি। এই প্রসঙ্গে আমেরিকায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্টোনভবলেন, “সংঘর্ষ নিয়ে আমেরিকা সঠিক তথ্য দিচ্ছে না। বলা চলে, ড্রোনটি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই রুশ সীমান্তের কাছে উড়ছিল। এমকিউ-৯ ধরনের ড্রোন মূলত গুপ্তচরবৃত্তির জন্যই ব্যবহৃত হয়।” তিনি আরও বলেন, “আজ আমেরিকার সীমান্তেরকাছে যদি রুশ ড্রোন উড়ত, একই প্রতিক্রিয়া হত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy