ছবি: রয়টার্স।
ঘৃণা বা বর্ণবিদ্বেষে প্রশ্রয় দেওয়ার ভাষা যে নেতার মুখ থেকেই শুনবেন, তাঁকে প্রত্যাখ্যান করুন— মার্কিন নাগরিকদের উদ্দেশে এমনই বার্তা দিয়েছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। কারও নাম না করেই এই মন্তব্য করেছেন তিনি। গত কাল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, তাঁর দেশে ঘৃণার কোনও স্থান নেই। সম্প্রতি টেক্সাস ও ওহায়োতে বন্দুকবাজের হামলার পরে ট্রাম্পের বর্ণবিদ্বেষী অবস্থান নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছিল। তাঁদেরই জবাব দিতে মুখ খুলেছিলেন প্রেসিডেন্ট। তিনি ঘৃণা দূর করার কথা বললেও কার্যক্ষেত্রে শ্বেতাঙ্গ
জাতীয়তাবাদীরা তাঁর কথাতেই উৎসাহিত হচ্ছে বলে মনে করছে মার্কিন জনতার একটা বড় অংশ। নাম না করলেও এই সূত্রে এ বার মন্তব্য করলেন বারাক ওবামাও।
পদ থেকে সরে যাওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক বিষয়ে মন্তব্য করার আগে সতর্ক থাকেন ওবামা। এমনিতে মার্কিন ঐতিহ্য অনুযায়ী, প্রাক্তন প্রেসিডেন্টরা তাঁদের উত্তরসূরিদের সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকেন। কিছু দিন আগেও ট্রাম্পের বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে একটি লেখা টুইটারে শেয়ার করে ওবামা বুঝিয়েছিলেন, এ ক্ষেত্রে তিনি চুপ থাকবেন না। এ বারও ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করে তিনি একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘আমাদের যে কোনও নেতার মুখ থেকে ভয়, ঘৃণা অথবা বর্ণবিদ্বেষমূলক কথা শুনতে পেলে তা আমরা দৃঢ় ভাবে প্রত্যাখ্যান করব। আমাদের মতো কেউ দেখতে নয় বলে যে সব নেতা অন্যদের দানবসুলভ বলে মনে করেন, শরণার্থী-সহ বাকি মানুষ আমাদের পক্ষে ভয়ের কারণ বলে মনে করেন, কিংবা অন্য কাউকে ‘মনুষ্যেতর জীব’ বলে মনে করেন, বা বোঝানোর চেষ্টা করেন, যে আমেরিকা শুধু এক শ্রেণির মানুষের জন্যই— সেই সব নেতাকে পরিহার করুন।’’ এর পরে ওবামার সংযোজন, ‘‘আমাদের রাজনীতি এবং আমাদের রোজকার জীবনে এঁদের কোনও জায়গা নেই। সব জাতি এবং ধর্মবিশ্বাসের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মার্কিন নাগরিকের বৃহদংশ এবং রাজনৈতিক দলগুলির উচিত, সর্বসম্মত ভাবে এই বিষয়টি স্পষ্ট ভাবে বলে যাওয়া।’’
অমানবিক: কৃষ্ণাঙ্গ অভিযুক্তের হাতে দড়ি বেঁধে নিয়ে যাচ্ছে দুই শ্বেতাঙ্গ পুলিশ। শনিবার টেক্সাসের গ্যালভেস্টোন পুলিশের এই কুকীর্তির ছবি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ক্ষমা চেয়েছেন সেখানকার পুলিশ প্রধান। ছবি: ফেসবুক
নিজে প্রেসিডেন্ট পদে বসার আগে ট্রাম্প প্রচারে বহু বার বলেছেন, মেক্সিকোর শরণার্থীদের মধ্যে মাদক পাচারকারী, অপরাধী এবং ধর্ষকরা রয়েছে। কিছু দিন আগে মার্কিন কংগ্রেসের চার অশ্বেতাঙ্গ মহিলা সদস্যকে ফের বর্ণবিদ্বেষী আক্রমণ করে ট্রাম্প বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁর অবস্থান থেকে এক চুলও সরেননি তিনি। শুধু এই চার সদস্য নয়, এর পরেও আফ্রো-মার্কিন সেনেটর ও বল্টিমোর শহর নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। আর সে কারণেই টেক্সাস ও ওহায়োর হামলার পরে সমালোচনার মুখে পড়েছেন ট্রাম্প।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy