প্রথমা: প্রতিষেধক ‘এমআরএনএ-১২৭৩’ ইঞ্জেকশন নিচ্ছেন জেনিফার হেলার। কোভিড-১৯ প্রতিরোধে প্রতিষেধকটির প্রথম পরীক্ষায় ভাল ফল মিলেছে, বলছেন বিজ্ঞানীরা। সিয়াটলে। এপি
পরীক্ষারম্ভ
• মানবদেহে ‘নোভেল করোনাভাইরাস’ তথা ‘সার্স-করোনাভাইরাস-২ (SARS-CoV-2)’-এর প্রতিষেধকের পরীক্ষা শুরু করল আমেরিকা।
• প্রতিষেধকটির নাম এমআরএনএ-১২৭৩ (mRNA-1273)। শুরু হয়েছে এর পরীক্ষার প্রথম পর্ব।
• এত দ্রুত কোনও প্রতিষেধক তৈরি সাম্প্রতিক কালে সম্ভব হয়নি, দাবি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনান্ড ট্রাম্পের।
• সোমবার (ভারতে মঙ্গলবার) প্রথম দফায় চার জন সুস্থ স্বেচ্ছাসেবীকে, হাতে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে।
• প্রথম স্বেচ্ছাসেবী দুই সন্তানের মা, ৪৩ বছর বয়সি জেনিফার হেলার। বলেছেন, ‘‘কিছু একটা করার এটাই একটা দারুণ সুযোগ।’’
• ছ’সপ্তাহে ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সি ৪৫ জন সুস্থ মানুষের উপরে এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হবে।
• প্রতিষেধকটির পরীক্ষা চলছে ওয়াশিংটনের সিয়াটলে কাইসার পার্মানেন্টে গবেষণা কেন্দ্রে।
• বিজ্ঞানীদের দাবি, এমআরএনএ-১২৭৩ দেওয়ার কারণে স্বেচ্ছাসেবীর কোভিড-১৯ হবে না। তবু নিরন্তর নজরদারি চলছে।
• মানবদেহে পরীক্ষার পর্ব শেষ করতে লাগবে অন্তত ৬৫ দিন।
• পরীক্ষা সফল হলে প্রতিষেধক বাজারে আসতে লাগবে এক থেকে দেড় বছর।
প্রস্তুতির কথা
• প্রতিষেধকটি তৈরি হয়েছে আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেল্থ ও মডার্না নামে বায়োটেকনোলজি সংস্থার যৌথ চেষ্টায়।
• নানা ভাবে সহযোগিতা করছে অন্যান্য সংস্থা এবং ভারত-নরওয়ের মতো বিভিন্ন দেশ।
• হাম বা অন্য রোগের দুর্বল জীবাণু বা তার মৃতদেহ থেকে প্রতিষেধক তৈরি করা হয়। এমআরএনএ-১২৭৩ জীবাণুর দেহ থেকে তৈরি নয়।
• সংশ্লিষ্ট জীবাণুর দেহের জিন কোডের বিশেষ অংশ ব্যবহার করে গবেষণাগারে তৈরি।
• এমআরএনএ-১২৭৩ তৈরি করার জন্য নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করতে হয়নি। আগে থেকেই রয়েছে, এমন প্রযুক্তিই ব্যবহার করা হয়েছে।
মোকাবিলার পথ
• নোভেল করোনাভাইরাস বলের মতো। সর্বাঙ্গে যেন পেরেক (স্পাইক) পোঁতা।
• এই স্পাইকগুলি মানবদেহে গেঁথে যায় ও সেগুলির মাধ্যমে মানব কোষে ঢোকে জীবাণুটির বংশবৃদ্ধির উপাদান, আরএনএ।
• হাঁচি-কাশি বা কথা বললে লালারসের বিন্দু (ড্রপলেট) ছিটকে বেরোয়। সংক্রমণ থাকলে সঙ্গে বেরোয় করোনাভাইরাসও।
• ড্রপলেট ধাতু বা শক্ত কিছুর উপরে পড়লে কিছু ক্ষণের মধ্যে শুকিয়ে যায়। কিন্তু ভাইরাসগুলি সহজে মরে না।
• ড্রপলেট মানুষের ত্বকে পড়লে ভাইরাস বংশবৃদ্ধির জৈবিক উপাদান পেয়ে যায়।
• সাধারণ সাবানই ভাইরাসের কাঁটাগুলির উপাদানকে গলিয়ে দিতে সক্ষম। অ্যালকোহল-ভিত্তিক স্যানিটাইজ়ারেও কাজ হয়।
• বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য, প্রতিষেধক দিয়ে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করা, যা ভাইরাসের স্পাইকগুলি নিষ্ক্রিয় করতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy