Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা কমানো জি-৭-এর সাফল্য: হোয়াইট হাউস

হোয়াইট হাউসের তরফে প্রতি দিনের মতো একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে আজ। তাতে ট্রাম্প প্রশাসনের চোখে এ বারের জি-৭ সম্মেলনের পাঁচটি সাফল্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এপি।

ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এপি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৯ ০২:১৪
Share: Save:

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমানোয় সাহায্য করাকে জি-৭ সম্মেলনের অন্যতম সাফল্য বলে বর্ণনা করল হোয়াইট হাউস। ২৪ থেকে ২৬ অগস্ট, ফ্রান্সের বিয়ারিৎজ় শহরে ওই সম্মেলন সেরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশে ফিরেছেন। তার পরে হোয়াইট হাউসের তরফে প্রতি দিনের মতো একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে আজ। তাতে ট্রাম্প প্রশাসনের চোখে এ বারের জি-৭ সম্মেলনের পাঁচটি সাফল্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ঐক্যের বার্তা দেওয়া, একশো কোটি ডলারের বাণিজ্য-চুক্তি, আমেরিকা-মেক্সিকো-কানাডা চুক্তির লক্ষ্যে এগোনো ও ইউরোপের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক মজবুত করা তার প্রথম চারটি। পঞ্চমটি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমানোয় সাহায্য করা।

পরমাণু শক্তিধর দু’টি দেশের মধ্যে যাতে উত্তেজনা না-বাড়ে, সে দিকে সব পক্ষকে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তনিয়ো গুতেরেসও। কিন্তু হোয়াইট হাউসের ওই বিবৃতিতে বাড়তি কিছুও দেখতে পাচ্ছেন কূটনীতিকরা।

কয়েক সপ্তাহ আগে মধ্যস্থ হওয়ার কথা বলে জট বাড়ালেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পাশে নিয়ে গত কাল ট্রাম্প স্বীকার করেছেন, কাশ্মীর-প্রসঙ্গ ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়। এবং নিজেদের মধ্যেই তারা বিষয়টি খুব ভাল ভাবে মিটিয়ে নিতে সক্ষম বলে তিনি নিশ্চিত। তবে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের বিষয়টি থেকে দূরে থাকতে নারাজ ট্রাম্প প্রশাসন। আফগানিস্তান থেকে সেনা ফেরানোর পথ সুগম করতে দু’টি দেশকেই প্রয়োজন আমেরিকার।

বিদেশসচিব বিজয় গোখলে জানাচ্ছেন, শুধু ফ্রান্স বা আমেরিকার রাষ্ট্রপ্রধান নয়, প্রধানমন্ত্রী মোদী বিয়ারিৎজ়ে জি-৭ বৈঠকের ফাঁকে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব গুতেরেসের সঙ্গেও কাশ্মীর নিয়ে কথা বলেছেন। তাঁকে বুঝিয়েছেন, গত তিন দশক ধরে জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছিলেন। সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে ভারত সংবিধানের কাঠামোর মধ্যে থেকেই পদক্ষেপ করেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনা বাড়ে, এমন কোনও কাজই নয়াদিল্লি করেনি। এবং জম্মু-কাশ্মীরে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে।

পাকিস্তান সমর্থন জোটানোর মরিয়া চেষ্টা চালালেও বিশ্বের কোনও দেশই জম্মু-কাশ্মীরে ভারতের ‘প্রশাসনিক’ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সে ভাবে মুখ খোলেনি। আর পাকিস্তানের জুটেছে দেশের আর্থ-সামাজিক হাল ফেরানো ও সন্ত্রাসের পরিকাঠামো বন্ধের পরামর্শ। দ্বিতীয় ক্ষেত্রটিতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য এফএটিএফ কালো তালিকায় তুলেছে পাকিস্তানকে। এর পরে কাল এল ট্রাম্পের তরফে ধাক্কা। তিনি মেনেছেন, কাশ্মীর নিয়ে তাঁর কিছু করার নেই। আজ হোয়াইট হাউসের বিবৃতিও স্পষ্ট করল, ভারত-পাক উত্তেজনা কমানোই বিশ্বের বাকি দেশের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে কিছুটা এগোনোও গিয়েছে জি-৭ সম্মেলনে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy