ফাইল চিত্র।
তাইওয়ানে সামরিক অভিযানের হুমকি আগেই দিয়েছিল চিন। সেই মতোই তাইওয়ানে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ‘সর্ববৃহৎ’ সামরিক মহড়া শুরু দিল লাল ফৌজ। চিনের সরকারি টিভি সূত্রে খবর, তাইওয়ানের চারপাশে জলপথ ও আকাশপথে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)।
চিনে সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুর ১২টা নাগাদ এই সামরিক অভিযান শেষ হবে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, চিনের এই সামরিক মহড়ার উপর তারা নজর রাখছে।
বেজিংয়ের চোখরাঙানি উপেক্ষা করেই মঙ্গলবার রাতে তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেইয়ের শোংশান বিমানবন্দরে নামেন আমেরিকার হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সেই সময় বিমানবন্দরের সমস্ত আলো নিভিয়ে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছিল। পেলোসির সফরের বিরোধিতা জানিয়ে প্রথম থেকেই সরব হয় বেজিং। এমনকি তাইওয়ানে পেলোসির সফর হলে ওয়াশিংটনকে তার মূল্য চোকাতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে শি জিনপিংয়ের সরকার। সূত্রের খবর, তাইপেইয়ের বিমানবন্দরে যখন মার্কিন স্পিকারের বিমান অবতরণ করেছিল, সেই সময় তাইওয়ানের আকাশসীমায় অন্তত ২০টিরও বেশি চিনা যুদ্ধজাহাজ অনুপ্রবেশ করেছিল।
বুধবার দিনভর তাইওয়ান প্রণালীর উপর চিনা যুদ্ধবিমানের গতিবিধি দেখা গিয়েছে। অন্য দিকে, তাইওয়ানে খাদ্যপণ্য আমদানি ও বালি সরবরাহ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিন। প্রসঙ্গত, তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে এসেছে বেজিং।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy