ছবি রয়টার্স।
ফের এক দিনে হাজারের উপরে মৃত্যু আমেরিকায়। সংখ্যাটা ১৩০২। দৈনিক সংক্রমণ ৫৩ হাজারের উপরে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ লক্ষ ছাড়িয়েছে আজ। ১ লক্ষ ৫৬ হাজারের বেশি মৃত্যু। অথচ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেই যাচ্ছেন, ‘‘আমরা ভাল লড়ছি। করোনা রুখতে আমাদের প্রচেষ্টা ভাল কাজ দিচ্ছে।’’
জুনের শেষ থেকে দেশের দক্ষিণ ও পশ্চিম প্রান্তে সংক্রমণ বাড়তে থাকার পরে প্রতিদিন করোনা সংক্রান্ত মিডিয়া ব্রিফিং করছেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস টাস্ক ফোর্সকে সামনে আসতে না-দিয়ে নিজেই রোজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন। এবং দাবি করছেন, পরীক্ষা বেশি হচ্ছে, তাই সংক্রমিতের সংখ্যা বেশি। করোনার বিরুদ্ধে তাঁর প্রশাসনের দারুণ লড়াইয়ের খবরটা ব্রিফিংয়েই দিয়েছেন। বারবারই জোর দিচ্ছেন, করোনা-পরীক্ষায় অন্য দেশগুলো তাদের ধারেকাছেও নেই, অনেক পিছিয়ে। এক দিন আগে খানিক জোর দিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘‘ভারত, চিন তো ধুঁকছে!’’ এ-ও বলেছেন, ‘‘চিনের জন্যই গোটা বিশ্বকে ভুগতে হচ্ছে।’’
ভাইরাসটির উৎস চিনে এখন করোনা-পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। মাঝে বেজিংয়ে নতুন করে সংক্রমণের খবর শোনা যাচ্ছিল। যদিও তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। কিন্তু শোনা যাচ্ছে— ভাইরাসের উৎসস্থল, চিনের উহানে করোনার হাত থেকে বেঁচে ফেরা ব্যক্তিদের অনেকের নতুন করে রিপোর্ট পজ়িটিভ আসছে। সুস্থ হওয়াদের ৯০ শতাংশের ফুসফুসের অবস্থা শোচনীয়। উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন ঝোংনান হাসপাতালের একটি চিকিৎসক দল, সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা করছে। তারা জানিয়েছে, ওই রোগীদের (বেশির ভাগের বয়স ৫৯-এর উপরে) ৯০ শতাংশের ফুসফুস এখনও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত। ফলে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন তাঁরা। হাঁটতে গিয়ে একটুতেই হাঁফিয়ে উঠছেন। এখনও অনেককে নির্ভর করতে হচ্ছে অক্সিজেন সিলিন্ডারের উপর। ১০ শতাংশ রোগীর শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডিও উধাও! উল্টে তাঁদের অনেকে নতুন করে কোভিড-পজ়িটিভ। বিজ্ঞানীরা আরও জানাচ্ছেন, যাঁরা সুস্থ হচ্ছেন, তাঁদের শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা নিজস্ব রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ছে। লিম্ফোসাইট বি সেল (ভাইরাস আক্রান্ত হলে যা লড়াই করে)-এর সংখ্যা খুবই কম। ফলে ফাঁড়া কাটছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy