আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) পৌঁছে গিয়েছে ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের মহাকাশযান ক্রিউ-১০। ফ্যালকন ৯ রকেটে ওই মহাকাশযানটিকে পাঠানো হয়েছে। শনিবার ভোরে (ভারতীয় সময়) ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, রবিবার সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে রকেটটি মহাকাশ স্টেশনে নেমেছে। গোটা প্রক্রিয়া নিরাপদে হয়েছে বলেই খবর নাসা সূত্রে। ওই মহাকাশযানের দরজা খুলতে সময় লাগে এক ঘণ্টার বেশি। ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সঙ্গী বুচ উইলমোরকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনবে এই মহাকাশযান। গত ন’মাস ধরে তাঁরা মহাকাশে আটকে আছেন।
স্পেসএক্সের ক্রিউ-১০-এ মহাকাশে গিয়েছেন আরও চার নভশ্চর। তাঁদের মধ্যে আছেন নাসার অ্যান ম্যাক্লেন, নিকোল আইয়ার্স, জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাক্সার প্রতিনিধি টাকুয়া ওনিশি এবং রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমসের প্রতিনিধি কিরিল পেসকভ। সুনীতারা তাঁদের হাতে দায়িত্ব তুলে দিয়ে পৃথিবীতে ফিরবেন। নাসা সূত্রে খবর, গন্তব্যে পৌঁছে গেলেই মহাকাশযানের দরজা খুলে যায় না। আগে নিরাপত্তা এবং বহিরাগত চাপ সংক্রান্ত কিছু পরীক্ষানিরীক্ষা করতে হয়। তার জন্য ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় লেগেছে। সকাল ১১টা নাগাদ ক্রিউ-১০-এর দরজাটি খোলে। তার পরেই বেরিয়ে আসেন ওই চার জন।
আরও পড়ুন:
মহাকাশযানে সুনীতা এবং বুচের ওঠার কথা ছিল ১১টা ১০ মিনিট নাগাদ। তাঁদের সঙ্গে পৃথিবীতে ফিরবেন নাসার নিক হগ এবং রাশিয়ান নভশ্চর আলেকজ়ান্ডার গর্বুনভ। কিছু দিন আগে ড্রাগন যানে চড়ে তাঁরা মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন। আগামী বুধবার ভারতীয় সময় অনুযায়ী দুপুর দেড়টা নাগাদ সুনীতা-সহ চার জনকে নিয়ে আবার পৃথিবীর উদ্দেশে রওনা দেবে স্পেসএক্সের মহাকাশযান।
গত বছরের জুন মাসে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন সুনীতা এবং বুচ। আট দিন পরেই তাঁদের পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু যে যানে চড়ে তাঁরা গিয়েছিলেন, সেই বোয়িং স্টারলাইনারে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। ফলে তাতে সুনীতাদের প্রত্যাবর্তন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। নাসা সিদ্ধান্ত নেয়, ওই মহাকাশযানে সুনীতারা ফিরবেন না। ফলে মহাকাশে আটকে পড়েন সুনীতা এবং বুচ। তাঁদের আট দিনের মহাকাশ সফর ন’মাসে দীর্ঘায়িত হয়েছে। তবে আশা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহেই তাঁরা নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।