বিমান দুর্ঘটনার পর চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: এএফপি।
আমেরিকান এয়ারলাইন্সের বিমানের সঙ্গে সংঘর্ষের আগে সেনার হেলিকপ্টারের পাইলটকে সতর্ক করেছিলেন এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলার। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে অন্তত তেমনই দাবি করা হয়েছে। ধাক্কা লাগার ৩০ সেকেন্ড আগে রেগান ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলার (এটিসি) সেনা কপ্টারকে সতর্ক করে বার্তা দেয়, সামনে কোনও বিমান দেখতে পাচ্ছে কি না। একটি রেডিয়োবার্তা প্রকাশ্যে এসেছে। (যদিও সেটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।)
সেই বার্তায় বলা হচ্ছে, ‘‘প্যাট২৫, ডু ইউ হ্যাভ সিআরজে অন সাইট?’’ আবার কপ্টারের পাইলটকে বার্তা দেওয়া হয়, ‘‘প্যাট২৫ পাস বিহাইন্ড সিআরজে।’’ তবে কোনও বারই হেলিকপ্টারের পাইলটের কাছ থেকে উত্তর পাওয়া যায়নি বলে ওই সংবাদমাধ্যমগুলিতে দাবি করা হয়েছে। তার পরই কয়েক সেকেন্ডে বিমান এবং হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ হয়। লাইভএটিসি ডট নেটে এই অডিয়োবার্তা প্রকাশ করেছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন বলেছে, এক জন ট্র্যাফিক কন্ট্রোলারকে তিন বার ‘ক্র্যাশ…ক্র্যাশ…ক্র্যাশ’ বলে সতর্ক করতে শোনা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ৫৩৪২ উড়ানটি রোনাল্ড রেগান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল বিমানবন্দরে নামছিল। নামার ঠিক আগের মুহূর্তেই পোটোম্যাক নদীর উপর আমেরিকা সেনার ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। বিমানবন্দরে নামার ঠিক আগের মুহূর্তে যাত্রিবাহী বিমানের ডান দিকে থেকে ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারটি আসে। আর তার পরই সংঘর্ষ। সেই সংঘর্ষের পরই মাঝ আকাশে আগুনের গোলা দেখা যায়। পরে জানা যায়, বিমানটি পোটোম্যাক নদীতে ভেঙে পড়েছে। তবে সেনার কপ্টারে তিন জনের কোনও খোঁজ নেই।
কানসাসের সেনেটর জেরি মর্গ্যান জানিয়েছেন, কানসাস থেকে ওয়াশিংটনে আসছিল বিমানটি। স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যায় সেটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। তার পরই বিমানবন্দর থেকে সমস্ত বিমানের ওঠানামা সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিমানটিতে কর্মী-সহ ৬৪ জন যাত্রী ছিলেন। ১৮ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy