প্রতীকী ছবি।
করোনাভাইরাসের নয়া রূপ নিওকোভ আদৌ কতটা প্রাণঘাতী, তা নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন। শুক্রবার এ কথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। পাশাপাশি, ‘হু’-র তরফে রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা ‘তাস’-কে বলেছেন, ‘নয়া ভাইরাসের গতিবিধি সম্পর্কে আমরা সচেতন। তবে গবেষণায় শনাক্ত হওয়া ভাইরাসটি মানুষের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কি না তা নিয়ে আরও অধ্যয়নের প্রয়োজন।’
সম্প্রতি চিনের উহানের তিন চিকিৎসা-বিজ্ঞানী দক্ষিণ আফ্রিকার বাদুড়ের দেহে করোনাভাইরাসের নয়া রূপ নিওকোভের সন্ধান পান। তাঁদের দাবি, মানুষের শ্বাসযন্ত্রকে গুরুতর ভাবে প্রভাবিত করতে পারে সদ্য আবিষ্কৃত এই ভাইরাস। এর মারণক্ষমতাও করোনাভাইরাসের ডেল্টা বা অন্য রূপের তুলনায় তুলনামূলক ভাবে বেশি। প্রতি তিন সংক্রমিতের এক জনের মৃত্যু হতে পারে নিওকোভ-এ।
হু-এর দাবি, ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই মানুষের দেহে সংক্রমণ সৃষ্টিকারী ভাইরাসের উৎস বন্যপ্রাণী। কিন্তু বন্যপ্রাণীর দেহে উপস্থিত সব ভাইরাসই মানুষের পক্ষে বিপজ্জনক নয়। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবারই রাশিয়ার ‘ভেক্টর রাশিয়ান স্টেট রিসার্চ সেন্টার অব ভাইরোলজি অ্যান্ড বায়ো-টেকনোলজি’ নিওকোভ প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি দেয়। সেখানে বলা হয়েছে, চিনা বিশেষজ্ঞদের যে নয়া রূপ নিয়ে সাবধান করছেন, তা নিয়ে এখনই চিন্তার কিছু নেই। মানব শরীর এই রূপটিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা খুবই ক্ষীণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy