আঙ্গেলা ম্যার্কেল। —ফাইল চিত্র।
মিশ্র প্রতিষেধকের কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণা চলছে। তার মধ্যেই দু’টি পৃথক সংস্থার করোনা টিকা নিলেন জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। ষাটোর্ধ্ব অ্যাঙ্গেলা গত এপ্রিল মাসে করোনার প্রথম টিকা নেন। সে বার অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা বেছে নিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার দ্বিতীয় টিকা নিতে গিয়ে মডার্নার তৈরি টিকা বেছে নেন। তবে দু’রকমের টিকা নেওয়ার পর, তাঁর শরীরে কোনওরকম সমস্যা দেখা দেয়নি বলে জানিয়েছেন অ্যাঙ্গেলার মুখপাত্র।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেওয়ার পর কিছু ক্ষেত্রে রক্ত জমাট বাঁধার মতো সমস্যা দেখা গিয়েছে। সে ক্ষেত্রে ষাটোর্ধ্বদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করছেন গবেষকরা। ৬৬ বছর বয়সি অ্যাঙ্গেলা এমনিতেই দীর্ঘ সময় অসুস্থ ছিলেন। এখন সুস্থ হয়ে উঠলেও, চিকিৎসকদের পরামর্শেই তিনি দ্বিতীয় বার অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে খবর। সে দেশের প্রবীণ মানুষদের অনেকেই প্রথম বার অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিলেও, দ্বিতীয় বার অন্য ফাইজার বা মডার্নার টিকা নিচ্ছেন।
কোভিডের মিশ্র টিকা করোনার বিরুদ্ধে কতটা কার্যকরী, তা নিয়ে গোটা বিশ্বেই গবেষণা চলছে। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংসের মতে, দু’বার দু’রকমের টিকা নিলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তার জেরে এপ্রিলেই জার্মানির তরফে বলা হয়, প্রথম বার অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিলে, দ্বিতীয় বার অন্য টিকা নেওয়া উচিত। জার্মানি ছাড়াও ইউরোপের একাধিক দেশে দু’বার দু’রকমের টিকা নেওয়ার নিয়ম চালু হয়েছে। এ বার রাষ্ট্রনেতা হিসেবে খোদ অ্যাঙ্গেলা সেই নিয়ম পালন করলেন। জার্মানির মোট জনসংখ্যার ৫১.২ শতাংশই ইতিমধ্যে করোনার প্রথম টিকা পেয়ে গিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy