Advertisement
E-Paper

তৃতীয় বারের জন্য হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা হবেন ট্রাম্প? কী বলছে মার্কিন সংবিধান, আইনের ফাঁকটাই বা কোথায়?

ট্রাম্পের তৃতীয় বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার বাসনায় জল ঢালতে পারে মার্কিন সংবিধান। আবার সাংবিধানিক বিধির ফাঁক গলেই ফের হোয়াইট হাউসে ঢুকে পড়তে পারেন তিনি।

ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৫ ১৬:০৪
Share
Save

তৃতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা খারিজ করে দেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। উল্টে সর্বোচ্চ আট বছর থাকার পরেও যে হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা হওয়ার উপায় রয়েছে, সে কথা জানিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের এই বক্তব্যকে অনেকেই তাঁর পুনরায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার বাসনা হিসাবে দেখছেন। কিন্তু ট্রাম্পের এই বাসনায় জল ঢালতে পারে মার্কিন সংবিধান। আবার সাংবিধানিক বিধির ফাঁক গলেই ফের হোয়াইট হাউসে ঢুকে পড়তে পারেন তিনি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে নজিরবিহীন ভাবে চার দফায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসেছিলেন ফ্রাঙ্কলিন রুজ়ভেল্ট। তার পর ১৯৫১ সালে সে দেশের সংবিধানে ২২তম সংশোধনী এনে বলা হয়, কোনও ব্যক্তি দু’দফার বেশি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকতে পারবেন না। সেই অঙ্ক মাথায় রাখলে জো বাইডেনকে হারিয়ে দ্বিতীয় বার হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করা ট্রাম্পের এটাই প্রেসিডেন্ট হিসাবে শেষ মেয়াদ। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতা নিরঙ্কুশ ভাবে যাতে কোনও এক জন ব্যক্তির হাতে কুক্ষিগত না-হয়, মূলত এই কারণেই এই সাংবিধানিক বদল ঘটানো হয়।

তবে মার্কিন মুলুকেও আরও অনেক মুলুকের মতো আইন যেমন আছে, তেমনই তার ফাঁকও রয়েছে। আমেরিকার মাত্র ন’জন প্রেসিডেন্ট ভোটে নির্বাচিত না-হয়েই হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা হয়েছিলেন। তৎকালীন প্রেসিডেন্টদের মৃত্যু কিংবা অসুস্থতাজনিত কারণে ওই ন’জন মার্কিন প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদে আসীন হয়েছিলেন। ২২তম সংবিধান সংশোধনী আমেরিকার কোনও ব্যক্তিকে তৃতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হতে দেয় না ঠিকই, তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ভাইস প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন কি না, সেই বিষয়েও স্পষ্ট করে কিছু বলে না। আর ধোঁয়াশা সেখানেই।

পরিস্থিতি এমন হলেও হতে পারে যে, ২০২৮ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হলেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স। আর ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রবিবার একটি সাক্ষাৎকারে এমন একটি সম্ভাবনার কথা উস্কে দিয়েছেন সঞ্চালিকা নিজেই। ট্রাম্প এই সম্ভাবনার কথা শুনে বলেন, “ভাল। এটা একটা (উপায়)। কিন্তু আরও আছে।” তবে কোনও পরিকল্পনার কথা প্রকাশ্যে আনেননি তিনি। তবে ট্রাম্প-ভান্স জুটি নিজেদের ভূমিকা বদল করবে কি না, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট।

আর সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র পেলে ভান্সের ডেপুটি হতেই পারেন ট্রাম্প। সে ক্ষেত্রে কোনও কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করে ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট পদ ছেড়ে দিতে পারেন ভান্স। এই সম্ভাবনায় অবশ্য অনেক ‘যদি-তবে’ রয়েছে। তবে এটাও স্পষ্ট যে, সাংবিধানিক আইনের ফাঁককে নিজের অনুকূলে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন ট্রাম্প। সে ক্ষেত্রে ভোটে জিতে সাংবিধানিক ‘বাঁকা’ পথেই হোয়াইট হাউসে ঢুকবেন তিনি।

গত জানুয়ারি মাসে ট্রাম্প উপস্থিত জনতার উদ্দেশে প্রশ্ন রেখেছিলেন যে, তিনি ফের প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য ভোটে লড়তে পারেন কি না। মার্চ মাসের গোড়ায় মার্কিন প্রশাসনের প্রথম সারির কর্তাব্যক্তিদের সামনেও নিজের এই ইচ্ছার কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন ট্রাম্প। তার পর রবিবার আমেরিকার ‘এনবিসি নিউজ়কে’ দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে প্রশ্নকর্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, “উপায় আছে (তৃতীয় বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য), যা আপনি অবলম্বন করতে পারেন। আপনি সেটা জানেন।”

US President White House

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}