ছবি: সংগৃহীত।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকার নেওয়ার পরই রক্ত জমাট বাঁধার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে বলে উঠেছে অভিযোগ। এমনকি, মৃত্যুও ঘটেছে বলে দাবি ইউরোপের কয়েকটি দেশে। ফলে এই টিকার সুরক্ষায় দেখা দিয়েছে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন। তবে এখনই এ টিকার প্রয়োগ বন্ধে রাজি নয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। উল্টে হু-র মতে, অক্সফোর্ডের টিকার ব্যবহার বন্ধ করার মতো কারণ নেই। শুক্রবার ‘কোভিশিল্ড’ নিয়ে আশ্বাস দিয়েছে হু।
ডেনমার্ক, নরওয়ে, আইসল্যান্ড, ইটালি এবং রোমানিয়ার মতো ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর বেশ কয়েকটি দেশে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি টিকা ‘কোভিশিল্ড’-এর পাশ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এই টিকার ডোজ নেওয়ার পর রক্ত জমাট বাঁধার মতো সমস্যা দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকি, টিকা প্রয়োগের পর মৃত্যুও হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। টিকার সুরক্ষা নিয়ে এই সংশয়ের পরিপ্রেক্ষিতে ওই দেশগুলিতে হয় তার প্রয়োগ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে, নয়তো তা বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে ‘কোভিশিল্ড’-এর বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ উঠলেও তা মানতে নারাজ হু। শুক্রবার হু-র সদর দফতর জেনিভায় একটি সাংবাদিক বৈঠক করে সংস্থার মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিসের দাবি, “অন্যান্য কোভিড টিকার মতোই অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ডও একটি অসাধারণ টিকা।”
এই টিকা নেওয়ার পর মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে বলে দাবি করেছে ইউরোপের কয়েকটি দেশ। তবে হ্যারিস বলেছেন, “টিকা নেওয়ার পর যে সমস্ত মৃত্যুর দাবি সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এ ধরনের কোনও মৃত্যু ঘটেনি যাতে প্রমাণিত হয় যে টিকা নেওয়ার পরই কেউ মারা গিয়েছেন।”
টিকার সুরক্ষা নিয়ে কোনও সংশয় থাকলে তা পর্যালোচনার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করলেও হ্যারিসের মন্তব্য, “অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ব্যবহারে বাধা নেই। তবে এর সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে সংশয় থাকলে তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা উচিত। তবে এই মুহূর্তে এ কথা বলা ঠিক নয় যে আমরা তা ব্যবহার করব না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy