ছবি এএফপি।
ইউরোপে আছড়ে পড়তে চলছে দ্বিতীয় সংক্রমণের ঢেউ। বিশেষজ্ঞেরা সাবধান করেছেন। সতর্ক প্রশাসন। ভয়ে রয়েছে আমেরিকাও। যদিও দেশের শীর্ষস্থানীয় এপিডিমিয়োলজিস্ট অ্যান্টনি ফাউচি-র মন্তব্য, আমেরিকা এখনও প্রথম ধাক্কাই কাটিয়ে উঠতে পারেনি! তবে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর, এই সময়ে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে ভয় পাচ্ছেন তাঁরা।
‘দ্বিতীয় সংক্রমণ-ঢেউ’— এই কথাটি এসেছে ১৯১৮ সালের ইনফ্লুয়েঞ্জা অতিমারি থেকে। বসন্তের সময়ে প্রথম ‘অজানা রোগ’ ছড়ায়। তার পর সম্পূর্ণ উধাও হয়ে যায়। তার পর হঠাৎই হেমন্তে (‘ফল সিজ়ন’, সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর) প্রায় ‘বিস্ফোরণ’। কাতারে কাতারে মানুষ সংক্রমিত। ফাউচি বলেন, ‘‘আমেরিকায় দ্বিতীয় সংক্রমণ-ঢেউ নিয়ে ভয় পাওয়ার থেকে, আমাদের ভেবে দেখা উচিত, হেমন্ত বা শীতে যদি ভয়ানক সংক্রমণ ঘটে, তা সামলানোর জন্য আমরা তৈরি কি না!’’
আমেরিকায় সংক্রমণ ৭১ লক্ষ ছাড়িয়েছে। মারা গিয়েছেন ২ লক্ষ ৭ হাজারের বেশি। এর মধ্যেই ধীরে ধীরে স্কুল-কলেজ-অফিস খুলে যাচ্ছে। এ দিকে, আবহাওয়া বদলাচ্ছে। হাওয়ায় শীতের রেশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লোকজন ধীরে ধীরে এ বার ঘরে সিঁধোবে। আর ততই দ্রুত গতিতে ছড়াবে কোভিড-১৯। তার সঙ্গে তো আবার ‘খাঁড়ার ঘা’ ফ্লু রয়েছেই। বছরের এই সময়টা মার্কিন বাসিন্দাদের অনেকেই ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হন। এর অবশ্য চিকিৎসা রয়েছে। কোভিড-১৯ ও ফ্লু, দু’টি ভাইরাস-জনিত রোগ। দুই-ই সংক্রামক। দুয়ের সংমিশ্রণে কী হবে, তা নিয়ে একটু বেশিই আতঙ্কে শীতের দেশগুলি। আমেরিকার ‘সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর ডিরেক্টর জানাচ্ছেন, দেশ আগে কখনও এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়নি। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, দেশের মধ্যভাগ ও মিডওয়েস্টের ২৩টি প্রদেশে গত সপ্তাহের থেকে সংক্রমণের হার বেড়েছে। ১৬টি প্রদেশে পরিস্থিতি স্থিতিশীল। অ্যারিজ়োনা, কানেক্টিকাট, ডেলাওয়্যার, হাওয়াই, ইন্ডিয়ানা, মেরিল্যান্ড, ওহায়ো, পেনসিলভ্যানিয়া, সাউথ ক্যারোলাইনা, ভারমন্ট ও ভার্জিনিয়ায় সংক্রমণ কমেছে।
বিশ্বে করোনা
মৃত ৯,৯১,০৩৬
আক্রান্ত ৩,২৬,৬২,১০৮
সুস্থ ২,৪০,৯১,৯৮৭
তবু করোনা-পরিস্থিতিকে ‘নজিরবিহীন’ বলতে রাজি নন বিজ্ঞানীদের অনেকেই। কারণটা, ১৯১৮-১৯, এই দু’টো বছর। এই সময় ইনফ্লুয়েঞ্জা অতিমারি দেখা দেয়। ‘১৯১৮-ফ্লু’ ৫ কোটি থেকে ১০ কোটি মানুষের প্রাণ নিয়েছিল। ঠিক একশো বছর পরে কোভিড-১৯-এর সঙ্গে এর ভয়াবহতায় আশ্চর্য মিল। তবে তফাত একটাই, চিকিৎসাবিজ্ঞান এখন অনেক উন্নত। রেকর্ড গতিতে চলছে টিকা তৈরির গবেষণা। ফলে সুখবর দেওয়ার অপেক্ষায় বিজ্ঞানীরাও। আজই চিনা ওষুধপ্রস্তুতকারী সংস্থা ‘সিনোভ্যাক’ দাবি করেছে, ২০২১-এর শুরুতেই ভ্যাকসিন আসছে।
আরও পড়ুন: আল-কায়দার ক্ষমতা অনেক কমেছে, দাবি মার্কিন রিপোর্টে
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপুঞ্জে মুসলিম তাস ইমরানের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy