ছবি: রয়টার্স।
বন্ধুত্বে ধাক্কা!
ব্রাজিলে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা যে ভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তাতে বিপদ বুঝেই এ বার সে দেশ থেকে আমেরিকায় ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা চাপাল হোয়াইট হাউস। রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ভিসা আবেদন করার আগের ১৪ দিন কেউ ব্রাজিলে থেকে থাকলে, আপাতত তাঁর প্রবেশ নিষিদ্ধ মার্কিন মুলুকে।
এর জেরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। তবু এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে দেখে ট্রাম্পের ঢঙেই মিডিয়াকে দুষে জল্পনা ওড়াল ব্রাজিলীয় প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর প্রশাসন। বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, ‘প্রযুক্তিগত কারণেই’ সাময়িক এই নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে ওয়াশিংটন। করোনা-রুখতে ব্রাজিলও বিদেশিদের জন্য ২৭ মার্চ থেকে দরজা বন্ধ রেখেছে।
করোনা আক্রান্তের নিরিখে এই মুহূর্তে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে আক্রান্ত প্রায় ৩ লক্ষ ৬৬ হাজার। মৃত প্রায় ২৩ হাজার। আমেরিকায় সংখ্যাটা যথাক্রমে প্রায় ১৭ লক্ষ এবং এক লক্ষ ছুঁইছুঁই। লাফিয়ে লাফিয়ে সংক্রমণ বাড়ছে দু’দেশেই। রবিবার আমেরিকায় ২০ হাজারেরও বেশি নতুন সংক্রমণের খবর মিলেছে, আর ব্রাজিলে সংখ্যাটা ১৫ হাজারের কাছাকাছি। দেশের ভূমিপুত্রদের মধ্যেও দ্রুত সংক্রমণের আশঙ্কা ছড়াচ্ছে। বোলসোনারো তবু নিজের তালেই। শনিবার কিঞ্চিত পানাহার করতে বেরিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট। পথচলতি মানুষেরা সরাসরি তাঁকে ‘অপদার্থ’, ‘খুনি’ বলে বিঁধেছিলেন। গতকাল, রবিবার ফের প্রকাশ্যে দেখা গেল বেপরোয়া বোলসোনারোকে। সরকারপন্থী এক র্যালিতে। এ বারও মাস্ক-হীন!
সংক্রমণ কিছুটা কম থাকায় ১৫ মে থেকে লকডাউন তুলে নিয়েছে অস্ট্রিয়া। তবে রাত ১১টার পর থেকে নৈশ কার্ফু চলছেই। শনিবার নিজেই কার্ফু ভেঙে পানশালায় থেকে গিয়েছিলেন অস্ট্রীয় প্রেসিডেন্ট আলেকজ়ান্ডার ভ্যান ডের বেলেন। কাল সে জন্য অবশ্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে অস্ট্রিয়াতেই সম্প্রতি বছর পঁয়তাল্লিশের এক মহিলার সফল ফুসফুস প্রতিস্থাপন হয়েছে বলে জানিয়েছে সে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
করোনা-মোকাবিলার পাশাপাশি, অর্থনীতি সচল রাখতে চেয়ে লকডাউন তোলার পথে হাঁটছে বহু দেশই। ৭ এপ্রিল থেকে দেশ জুড়ে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল জাপানে। আজ রাত থেকেই তা উঠছে। করোনা-যুদ্ধে ভাল ফলের ইঙ্গিত মিলেছে জার্মানি থেকেও। সব মিলিয়ে সে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৮০ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছলেও, ১ লক্ষ ৬১ হাজার জন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আজ থেকেই অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে স্কুল খুলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy