করোনার কারণে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে চিনা পর্যটকেরা। ছবি: রয়টার্স।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাসের অনুরোধ সত্ত্বেও করোনভাইরাস সংক্রমণ সংক্রান্ত ‘প্রকৃত তথ্য’ প্রকাশ্যে আনেনি চিন। এই পরিস্থিতিতে ভারত, আমেরিকা-সহ বিশ্বের এক ডজন দেশ চিনা নাগরিকদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
বেজিংয়ের তরফে মঙ্গলবার চিনা পর্যটকদের উপর বিধিনিষেধ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হল। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘কিছু দেশ শুধুমাত্র চিনা পর্যটকদের নিশানা করে প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করছে। তাদের সতর্ক করে বলতে চাই ভবিষ্যতে পাল্টা ব্যবস্থার মুখে পড়তে হতে পারে।’’
প্রসঙ্গত, আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চিন থেকে আমেরিকায় ঢুকতে গেলে দেখাতে হবে যাত্রা শুরুর আগের দু’দিনের মধ্যে করা কোভিড টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট। অথবা গত ৯০ দিনের মধ্যে সেই পর্যটক করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন, এই নথি দেখালেও ছাড় মিলবে। মূল চিনা ভূখণ্ডের পাশাপাশি, হংকং ও ম্যাকাও থেকেও যারা আমেরিকা আসবেন, তাদেরও মানতে হবে এই বিধি।
অন্য দিকে, ৫ জানুয়ারি থেকে চিন থেকে ফ্রান্সে প্রবেশ করতে গেলে দেখাতে হবে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট। যাত্রা শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে করানো র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট রিপোর্টকেও মান্যতা দেওয়া হবে। চিন থেকে ইতালি ও স্পেনে প্রবেশ করতে গেলে দেখাতে হবে কোভিড পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট। এ সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা মিলিত হয়ে এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
ভারত সরকার নিয়ম করেছে, চিন এবং চিন সংলগ্ন এশিয়ার আরও কয়েকটি দেশ থেকে আগত পর্যটকদের যাত্রা শুরুর আগের ৭২ ঘণ্টায় করানো কোভিড পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে। চিনে কোভিডের বাড়বাড়ন্তের কারণে ইতিমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান-সহ অনেক দেশই চিন থেকে আসা যাত্রীদের উপর নানা বিধিনিষেধ জারি করেছে। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের অভিযোগ, কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি ছাড়াই অভিসন্ধি নিয়ে এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy