ফাইল চিত্র।
কয়েক সপ্তাহ আগের কথা। সংবাদপত্রের শিরোনামে আসে: ‘দৈনিক করোনা সংক্রমণ ফের ১ লক্ষ ছাড়িয়েছে আমেরিকায়’। এ সপ্তাহে পরিস্থিতি আরও জটিল। গত সাত দিনের গড় দৈনিক সংক্রমণ দেড় লক্ষ! এমনই খবর দিচ্ছে সেন্টারস ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)।
বিশেষজ্ঞেরা বারবারই সাবধান করছেন, গত দেড় বছরে অতিমারি এক প্রকার অভ্যাসে পরিণত হলেও এ নিয়ে উদাসীন হওয়া চলবে না। তাঁদের বক্তব্য, ভাইরাস এখন আরও শক্তি বাড়িয়েছে। সেই প্রতিফলনই ধরা পড়ছে চারপাশে। সিডিসি জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে গড়ে প্রতিদিন সংক্রমিত হয়েছেন ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ২৪৬ জন। এক বছর আগের কথা ধরলে, এখনকার সংক্রমণ ১২৩.৬ গুণ বেশি। এ বছর ১৮ জুন সবচেয়ে কম সংক্রমণ ঘটেছিল আমেরিকায়। সেই দিনের সঙ্গে তুলনা করলে ১২১৭ গুণ। এই নিয়ে আজ মোট করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ৪ কোটি ছাড়াল আমেরিকায়। মারা গিয়েছেন মোট ৬ লক্ষ ৬৫ হাজার ৮৫৮ জন।
এ পর্যন্ত ৬২ শতাংশ বাসিন্দার টিকাকরণ হয়েছে আমেরিকায়। ২০ কোটি ৫৯ লক্ষ বাসিন্দা অন্তত একটি ডোজ় পেয়েছেন। টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে ৫২.৭ শতাংশ বাসিন্দার (১৭ কোটি ৫০ লক্ষ)। তবে বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, সংক্রমিতদের বেশির ভাগই টিকা না-নেওয়া ব্যক্তি। বিশেষ করে করোনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে এই অংশকেই। কিন্তু সেই সংখ্যাটাও কিছু কম নয়। ২৫ অগস্ট থেকে ৩১ অগস্টের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি তার আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ১৭ শতাংশ বেড়েছে। মৃত্যুও বেড়েছে ৩.৭ শতাংশ। গড় দৈনিক মৃত্যু ১০৪৭।
ক্যালিফর্নিয়ার কিছু হাসপাতালে আইসিইউয়ে শয্যা ফাঁকা নেই। চিকিৎসকেরা বলছেন, ভাইরাস আরও সংক্রামক হয়ে উঠেছে। বেশ কিছু হাসপাতালকে ইতিমধ্যে রোগী এলে অন্যত্র পাঠিয়ে দিতে হচ্ছে। ফ্রেসনো কাউন্টি ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোর হাসপাতালে জানানো হয়েছে, এক মাসের আগের পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করলে, রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকেরা বারবার বলছেন, পরিস্থিতির আরও অবনিত ঘটলে আইসিইউয়ে ফাঁকা শয্যার সংখ্যা অচিরেই শূন্য হয়ে যাবে। ক্যালিফর্নিয়ার সেন্ট্রাল ভ্যালিতে এখনই শয্যার অভাব দেখা যাচ্ছে। সান জোয়াকিন ভ্যালির অবস্থাও খারাপ। ক্যালিফর্নিয়ার টিকাকরণ হার অবশ্য দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। গভর্নর গেভিন নিউসম জানিয়েছেন, ১২ বছরের ঊর্ধ্বে বাসিন্দাদের মধ্যে ৮০ শতাংশ অন্তত ১টি ডোজ় পেয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও করোনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ঘটনা এই প্রদেশে বাড়ছেই। যদিও নিউসমের দাবি, ‘‘হাসপাতালে ভর্তি যতই বাড়ুক, এখনের পরিস্থিতি প্রাথমিক ভাবে টিকাবিহীনদের অতিমারি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy