ফাইল চিত্র।
হাতে আর মাত্র তিন মাস। নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। জিততে মরিয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘরে-বাইরে বিপাকে।
করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ছাড়িয়েছে আমেরিকায়। লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন হাজার হাজার বাসিন্দা। গোটা পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের নিজের হাতে গড়া করোনা টাস্ক ফোর্সও তাঁর পক্ষে কথা বলছে না। সরকারি গাফিলতিকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন টাস্ক ফোর্সের বর্তমান ও প্রাক্তন প্রধান, ডেবোরা ব্রিক্স এবং অ্যান্টনি ফাউচি। এ অবস্থায় কিছু দিন আগে ট্রাম্প দুঃখ করে বলেছিলেন, ‘‘আমাকে কেউ পছন্দ করেন না।’’ পরিস্থিতি সামলাতে বিভিন্ন ‘রিলিফ প্যাকেজ’ নিয়ে হাজির তিনি। কিন্তু ঝোলা থেকে সে সব ‘উপহার’ বেরোতেই বিরোধী দলের নেতানেত্রীরা সরব। বলছেন, ‘‘সব ছেলেভোলানো ভাঁওতাবাজি।’’ এ দিকে, হোয়াইট হাউসে ডেমোক্র্যাটের সঙ্গে বিবাদ যখন তুঙ্গে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র সংস্কার নিয়ে ট্রাম্পের প্রস্তাবে বেঁকে বসল ফ্রান্স ও জার্মানি। তাদের বক্তব্য, যে দেশ সংগঠনেই থাকবে না বলছে, তার ‘দাদাগিরি’ বরদাস্ত করা হবে কেন! ঘটনাচক্রে আজই ভারত-সহ পাঁচটি দেশের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেয়ো। করোনা-পরিস্থিতি কী ভাবে একযোগে সামলানো যায়, এ বিষয়ে দ্বিতীয় বার ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা হল পম্পেয়োর।
করোনা-পরিস্থিতিতে দেশের বাসিন্দাদের সাহায্য করতে চার রকমের আর্থিক সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব এনেছেন ট্রাম্প। যেমন, শ্রমিকদের আয়কর কমানো, বছরের শেষ পর্যন্ত বেকারভাতা দেওয়া, পরবর্তী ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষা সংক্রান্ত ঋণশোধ স্থগিত রাখা এবং স্বাস্থ্য বিমার সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলিকে বিমা করার আগে থেকে থাকা অসুখেও আর্থিক সুবিধা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া। বিরোধীদের বক্তব্য, ট্রাম্পের আনা প্রস্তাবগুলি চোখধাঁধাঁনো লাগলেও, তা আসলে ভাঁওতাবাজি। তাঁদের প্রশ্ন— এই প্রস্তাবগুলি আনলেও এর অর্থ কোথা থেকে জোগাবেন, তা স্পষ্ট করছেন না প্রেসিডেন্ট। এ ধরনের পদক্ষেপ করতে গেলে সরকারকে আইনি জটিলতায় পড়তে হতে পারে, তার ব্যাখ্যা দিচ্ছেন না। এবং সর্বোপরি স্বাস্থ্য বিমার ভার লঘু করার কথা বললেও ট্রাম্প নিজে তাঁর পূর্বসূরির করে যাওয়া ‘অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট’ (ওবামা-কেয়ার নামে বিখ্যাত) খারিজ করতে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন। কেন? আজ দেড় ঘণ্টা ধরে এ নিয়ে হোয়াইট হাউসের সঙ্গে বাদানুবাদ চলে ডেমোক্র্যাট নেত্রী ন্যান্সি পেলোসি এবং সংখ্যালঘু নেতা চাক শুমারের। পরে ট্রাম্প বলেন, ‘‘ডেমোক্র্যাটরা এ ভাবে বাধা দিলে আমি প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাবলে প্রস্তাব পাশ করব।’’
বিশ্বে করোনা মৃত ৭,২৭,৩৪৮ আক্রান্ত ১,৯৭,১১,৮২০ সুস্থ ১,২৬,৫৩,৬০২
হোয়াইট হাউস যখন সরগরম, হু নিয়েও বেকায়দায় ট্রাম্প। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-র সংস্কার নিয়ে গত চার মাস ধরে আলোচনা করছে জি-৭ দেশগুলি। এ দিকে, করোনা পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ হওয়া ও চিনের পক্ষ নেওয়া— এই দুই অভিযোগে হু ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। কিন্তু হু ছেড়ে বেরোনোর কথা বললেও, সংস্থাটির সংস্কার নিয়ে আলোচনায় বসতে চায় জি-৭ সদস্য আমেরিকা। সেই মর্মে তারা একটি রোডম্যাপও বানিয়েছে বলে খবর। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের দাবি, আমেরিকার দাদাগিরিতে ক্ষিপ্ত ফ্রান্স ও জার্মানি। তারা হু-র সংস্কার বৈঠকে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে। ইটালির স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তারা প্যারিস ও বার্লিনের সঙ্গে সহমত। ব্রিটেন বৈঠক নিয়ে মন্তব্য না-করলেও জানিয়েছে, তারা হু-এর পাশে আছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘ফ্রান্স ও জার্মানির এ ভাবে বেরিয়ে যাওয়া দুঃখজনক।’’
সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে ব্রাজিলেও। আজই সেখানে মৃত্যু এক লক্ষ পেরিয়েছে। মোট মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ২৪০। সংক্রমিত ২৯,৮৮,৭৯৬।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy