মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। -ফাইল ছবি।
করোনা পরীক্ষা সবচেয়ে বেশি হয়েছে আমেরিকায়। সংখ্য়ার নিরিখে তার পরেই রয়েছে ভারত। বিশ্বের আর কোনও দেশেই এত বেশি করোনা পরীক্ষা করানো হয়নি। বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অতিমারি নিয়ন্ত্রণে তাঁর সরকার কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা তুলে ধরতেই মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের কথায়, ‘‘করোনা পরীক্ষায় আমরা (আমেরিকা) গোটা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছি। ৫ কোটি মানুষের রক্তপরীক্ষা করানো হয়েছে ইতিমধ্যেই। এর পরেই দ্বিতীয় দেশ হিসাবে রয়েছে ভারতের নাম। ১ কোটি ২০ লক্ষ মানুষের করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে ভারতে। তার অনেক পরে রয়েছে অন্য দেশগুলি। যেখানে কোথাও করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে ৭০ লক্ষ, ৫০ লক্ষ কি ৪০ লক্ষ মানুষের। আমি মনে করি, আমরা (আমেরিকা) অসংখ্য মানুষের করোনা পরীক্ষা করাতে পেরেছি।’’
সরকারি পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, আমেরিকায় এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষের। আর ৩৮ লক্ষ মানুষের রক্তপরীক্ষা কোভিড পজিটিভ হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিশ্চিন্ত থাকা যাবে না কোভিড সেরে গেলেও
আরও পড়ুন: পুরনো রূপেই ফিরল নতুন পর্বের লকডাউনের নিয়ন্ত্রণবিধি
কোভিড টিকা প্রত্যাশিত সময়েরও আগে বাজারে আসতে চলছে জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘‘একটা পরিবারের সদস্য হিসাবে প্রত্যেকটি মৃত্যুর জন্য আমরা গভীর শোকাহত। সমব্যথী। যাঁদের আমরা এই লড়াইয়ে হারিয়েছি, তাঁদের স্মরণ করে বলতে চাই, আমরা খুব শীঘ্রই টিকা বানিয়ে ফেলব আর এই ভাইরাসকে লড়াইকে হারিয়ে দেব। টিকা বানানো ও অন্যান্য চিকিৎসার উদ্ভাবনের জন্য আমরা যথাসাধ্য করছি। একটি মানুষের জীবন বাঁচাতে আমার প্রশাসন যা যা করার সব কিছুই করবে।’’
ট্রাম্পের দাবি, গত ৭/৮ মাসে এই ভাইরাসটি সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা হয়ে গিয়েছে। এই ভাইরাস মূলত কাদের কাদের উপর হানাদারি চালায়, তা বুঝে ওঠা সম্ভব হয়েছে। তাই আগামী দিনে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী প্রতিরোধী ব্যবস্থা গড়ে তোলা যাবে বলে ট্রাম্প জানিয়েছেন।
তবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সাম্প্রতিক ছবি তুলে ধরতে গিয়ে আরও এক বার চিনের বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ উগরে দিতে দেরি করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
করোনা ভাইরাসকে ‘চিনা ভাইরাস’ তকমা লাগিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘এটা একটা নোংরা ভয়ঙ্কর রোগ যা চিনের বাইরে বেরতে দেওয়া উচিত হয়নি। কিন্তু সেটাই হল। তা গোটা বিশ্বকে সংক্রমিত করল। তার জন্য আজ গোটা বিশ্ব ভুগছে। এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে আমরা (আমেরিকা) কিন্তু অন্য দেশগুলিকে যথাসাধ্য সাহায্য করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy