Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪
Unemployment

কাজ হারাতে পারেন অন্তত আড়াই কোটি

আইএলও জানায়, সরকারকেই নিরাপত্তা দিতে হবে। নতুন কাজ তৈরি করতে হবে, সবেতন ছুটি দিতে হবে, অন্যান্য ভর্তুকির ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

সংবাদ সংস্থা
রাষ্ট্রপুঞ্জ শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২০ ০৮:১৬
Share: Save:

করোনা-সংক্রমণ রুখতে তালাবন্ধ বহু শহর, গৃহবন্দি অসংখ্য লোক। এর জেরে কাজ হারিয়ে বেকার হতে চলেছেন দিন-আনি-দিন-খাই বহু মানুষ। সংখ্যাটা অন্তত ২ কোটি ৫০ লক্ষ। আজ এ কথা জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।

কোভিড-১৯ সংক্রমণ সংক্রান্ত প্রাথমিক মূল্যায়ন রিপোর্ট প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। নাম দেওয়া হয়েছে, ‘কোভিড-১৯ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক: ইমপ্যাক্ট অ্যান্ড রেসপন্সেস’। রিপোর্টে ‘ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন’ (আইএলও) জানায়, নিজেদের মধ্যে সমন্বয় রেখে পরিস্থিতি সামলাতে হবে। মূলত তিনটি বিষয়ে নজর দিতে হবে— সব কর্মীকে আর্থিক নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া, কর্মক্ষেত্র, অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানগুলোকে সাহায্য, চাকরি ও আয়ের উপায়কে সামাল দেওয়া।

আইএলও জানায়, সরকারকেই নিরাপত্তা দিতে হবে। নতুন কাজ তৈরি করতে হবে, সবেতন ছুটি দিতে হবে, অন্যান্য ভর্তুকির ব্যবস্থা করতে হবে। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বড়-মাঝারি-ছোট সংস্থাগুলোকে করছাড় দেওয়ার কথাও ভাবতে হবে।

আমেরিকায় ইতিমধ্যেই প্রভাব টের পাওয়া যাচ্ছে। এ দেশে বেকার-ভাতা দেওয়া হয়। বাসিন্দাদের (পড়ুয়াদের পাশাপাশি কর্মীদেরও) বাড়ি থাকতে বলছে মার্কিন সরকার। তাতে রোজগার হারাচ্ছেন অনেকে। ফলে হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে— বেকার-ভাতা চাই। নিউ ইয়র্কের লেবার ডিপার্টমেন্টই জানিয়েছে এ কথা।

ওহায়োতে এ সপ্তাহের প্রথম দু’দিনে ৪৮,০০০ লোক বেকার-ভাতার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। যেখানে সাধারণত গড়ে ১৮২৫ জন আবেদন করে থাকেন। পেনসিলভ্যানিয়ার অবস্থা আরও খারাপ। এক দিনে ৭০,০০০ আবেদন। এই সংক্রান্ত বিষয় দেখাশোনা করেন, ফিলাডেলফিয়ার এমন এক আধিকারিক জন ডডস বলেন, ‘‘ভয়ানক পরিস্থিতি হবে। জোড়া ফলা: এক দিকে অসুস্থতা, অন্য দিকে বেকারত্ব।’’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ ‘ফ্যামিলিজ় ফার্স্ট করোনাভাইরাস রেসপন্স অ্যাক্ট’-এ সই করলেন। এই আইনে মার্কিন বাসিন্দারা বেকার-ভাতায় সুরক্ষিত হবেন, খাবারের অভাব হবে না, চিকিৎসা সামগ্রী পাবেন।

বাসিন্দাদের একটা অংশ সরকারি পরামর্শ মেনে বাড়িতে থাকতে পারলেও আর এক অংশের উপরে চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে যাঁরা অ্যামাজ়ন-এর মতো সংস্থাগুলোয় (অনলাইনে জিনিস বেচাকেনা করেন) কাজ করেন। অনলাইনে জিনিসপত্র কেনার অর্ডার উপচে পড়ছে। ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী ব্রুনো ল্য মেয়ার আজ অ্যামাজ়নের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন, কর্মীদের উপরে অমানবিক চাপ দিচ্ছে ওই সংস্থা।

অন্য বিষয়গুলি:

Unemployment Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy