ফাইল চিত্র।
রাজবাড়ির অন্দরমহলের অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটাতে অবশেষে দাদা উইলিয়ামের সঙ্গে কথা হল ব্রিটেনের রাজপুত্র হ্যারির। তবে বরফ গলল না। হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী মেগান মার্কলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গেল কিং সম্প্রতি এই দাবি করেছেন। কিছু দিন আগে ওপরা উইনফ্রের অনুষ্ঠানে ব্রিটেনের রাজপ্রাসাদ ছেড়ে আসার কারণ খোলাখুলি আলোচনা করেছিলেন রাজপুত্র হ্যারি এবং তাঁর স্ত্রী মেগান মার্কল। সেই আলোচনায় রাজপরিবারের বিরুদ্ধে জাতি ও বর্ণবিদ্বেষের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠে এসেছিল। তবে রাজপরিবারের তরফে ফাটল মেরামতিতে খামতি রাখা হয়নি। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাকিংহামের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, তারা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। পারিবারিক ভাবে তা খতিয়ে দেখা হবে। গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের উইলিয়াম জানান, ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর কথা হয়নি। তবে ব্রিটেনের রাজপরিবার কোনও ভাবে জাতিবিদ্বেষী নয়। সংবাদ মাধ্যমের সঞ্চালিকা এবং হ্যারি-মেগানের বিশিষ্ট বন্ধু গেলের দাবি, এই সপ্তাহের গোড়ায় মেগানদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়। তখনই তিনি জানতে পারেন দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা হয়েছে। কথা হয়েছে যুবরাজ চার্লসের সঙ্গেও। তবে সেই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। যদিও বিষয়টি নিয়ে কথা শুরু হওয়ায় হ্যারিরা খুশি। প্রিন্স উইলিয়ামের দফতর, অর্থাৎ কেনসিংটন প্রাসাদের তরফে অবশ্য এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। সে দিন ওপরার অনুষ্ঠানে মেগানের কথায় উঠে এসেছিল রাজবাড়ির অন্দরমহলের টানাপড়েন। দুই ভাই উইলিয়াম ও হ্যারির সঙ্গে তাঁদের বাবা যুবরাজ চার্লসের সম্পর্ক, বড় বৌ কেটের সঙ্গে মেগানের ক্রমাগত তুলনার পাশাপাশি জাতি ও বর্ণবিদ্বেষের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল। কৃষ্ণাঙ্গ মায়ের কন্যা এবং প্রাক্তন আমেরিকান অভিনেত্রী মেগানের হবু সন্তানের গায়ের রঙ কতটা কালো হতে পারে, তা নিয়ে নাকি প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজপরিবারের এক সদস্য। রাজবাড়ির ‘দমবন্ধ করা’ পরিবেশে এক সময় মৃত্যুচিন্তা গ্রাস করেছিল মেগানকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy