কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীর চৌধুরী। ফাইল ছবি।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের দাবি, ২০২০ সালে চেষ্টা করেও লাদাখ সীমান্তে কোনও জমি দখল করতে পারেনি চিন সেনা। পাল্টা জবাবে আজ কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীর চৌধুরী জানতে চান, সরকারের সেই দাবি সঠিক হলে বিতর্কিত এলাকায় সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল পাঠানোর সাহস সরকারের রয়েছে কি না। স্বভাবতই এ প্রশ্নের জবাব সরকার পক্ষ এড়িয়ে গেলেও আজ দফায় দফায় চিন-ভারত সীমান্ত সমস্যা নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে লোকসভা।
বছর আড়াই আগে গলওয়ানে চিন সেনার ভারতীয় ভূখণ্ড অধিগ্রহণের চেষ্টার পর থেকেই এ নিয়ে সংসদে বিস্তারিত আলোচনার দাবি জানিয়ে আসছেন বিরোধীরা। আজ রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের বক্তৃতায় ১৯৬২ সালে ভারত-চিন যুদ্ধের প্রসঙ্গ টানেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, “সে সময়ে অটলবিহারী বাজপেয়ীর অনুরোধে ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা নিয়ে সংসদে আলোচনা করতে রাজি হয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জহওরলাল নেহরু। যে বিতর্কে ১৬৫ জন সাংসদ অংশ নিয়েছিলেন।” সেই উদাহরণ মেনে বর্তমান সরকারের কাছেও ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনার দাবি তোলেন অধীর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “সে সময়ে ত্রুটি ছিল। কয়েক হাজার বর্গ কিলোমিটার জমি হারাতে হয়েছিল ভারতকে। তাই আলোচনায় বসতে হয়েছিল ভারতকে। এখন কোনও ত্রুটি নেই।” সরকারের ওই সাফাই শুনে অধীর জানতে চান, “বিতর্কিত এলাকায় সংসদীয় প্রতিনিধি দল নিয়ে যাওয়ার সাহস কি দেখাতে পারবে সরকার?” সেই প্রশ্ন এড়িয়ে যান অমিত। পরে একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নিজের বক্তব্যে অরুণাচলে ভারতের জমি চিন দখল করে নিয়েছে এমন অভিযোগ আনেন অধীর। প্রত্যুত্তরে শাসক শিবিরের অরুণাচলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বলেন, “ভারতীয় সেনা ওই দাবি খারিজ করে দিয়েছে। ফলে বিতর্ক অর্থহীন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy