আফগানদের বায়োমেট্রিক তথ্য এ বার পাকিস্তানের হাতে। ছবি: সংগৃহীত।
তিনটি বিমান বোঝাই রাশি রাশি দস্তাবেজ। সেই সঙ্গে কম্পিউটার হার্ড ডিস্ক, বায়োমেট্রিক ডেটা সেন্সর-সহ নানা ‘গোপন’ তথ্য। আমেরিকার একটি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, গত বৃহস্পতিবার কাবুল থেকে ইসালামাবাদে পাড়ি দিয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর ওই তিনটি বিমান।
চলতি সপ্তাহের গোড়ায় পাকিস্তান থেকে ‘মানবিক সাহায্য’ নিয়ে কাবুলে এসেছিল ওই তিনটি বিমান। ফেরার পথে তারা নিয়ে গিয়েছে পূর্বতম আফগান সরকারের গোয়েন্দা বিভাগ ‘ন্যাশনাল ডিরেক্টরেট অফ সিকিউরিটি’ (এনডিএস)-এর ‘বায়োমেট্রিক ডেটা বেস’-সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। পাকিস্তানে নিযুক্ত আফগান রাষ্ট্রদূত মনসুর আহমেদের তত্ত্বাবধানেই ওই সব ‘ডিজিটাল রেকর্ড’ আইএসআই-কে দিয়েছে তালিবান।
আফগান নাগরিকদের যাবতীয় বায়োমেট্রিক তথ্যের রেকর্ড রাখার জন্য আমেরিকার সেনাবাহিনী সাত হাজারেরও বেশি স্ক্যানার পাঠিয়েছিল আফগানিস্তানে। এগুলির মধ্যে কতগুলি তারা আফগানিস্তানে ফেলে রেখে গিয়েছে তার কোনও তথ্য এখনও জানা যায়নি। তবে কাবুলের পতনের পর হক্কানি নেটওয়ার্কের নেতা নওয়াজউদ্দিন হক্কানি জানিয়েছিলেন, সেই বায়োমেট্রিক ডেটাবেসের পুরোটাই তালিবানের হস্তগত হয়েছে। তাই দেশের কোন কোন নাগরিক আশরফ গনি সরকার বা আমেরিকার সেনাবাহিনীর হয়ে কাজ করেছিলেন, তা জানতে অসুবিধা হবে না।
প্রাথমিক ভাবে সেই সব ‘ডিজিটাল রেকর্ড’ এবং ‘বায়োমেট্রিক ডেটাবেস’ বিশ্লেষণ করে গনি ও আমেরিকা অনুগতদের চিহ্নিত করার কাজটি করছিল তালিবানের ‘আল ইশা ইউনিট’। এ বার সেই তথ্যই হস্তগত করল আইএসআই। এর ফলে শুধু আমেরিকা নয়, গত দু’দশকে ভারতের হয়ে কাজ করা আফগান নাগরিকদের অনেককেই চিহ্নিত করার সুযোগ পাবে পাক গুপ্তচর সংস্থা। চলতি সপ্তাহের গোড়ায় কাবুলে এসেছিলেন আইএসআই প্রধান হামিদ ফৈজ। তিনিও ওই আমেরিকা ও গনি সরকারের ওই গোপন তথ্যভাণ্ডার নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন বলে প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy